শিশুরাই তাঁকে মনে করায় জীবনের ধর্ম, তাঁদের ঘিরেই এগিয়ে যেতে চান ঋতাভরী
'বিশেষ' চাহিদাসম্পন্ন শিশু হয়েও তাঁরা অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর পথ প্রদর্শক
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty), তাঁর নাম শুনলেই মনে এক অন্যরকম শ্রদ্ধা জাগে। এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহে সচল হয়ে ওঠে জীবনে চলার তাগিদ। তিনি শুধু একজন সফল অভিনেত্রী নন, তিনি একজন 'সফল' মানুষ! মাত্র আঠারো বছর বয়সে পর্দায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়। নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে, আজ তিনি টলিউডের রাজকন্যা। মনের দিক দিয়েও বারবার তাঁর উদারতার ছোঁয়ায় উদ্বুদ্ধ হন অনুগামীরা। সল্টলেকে এক স্কুলের দায়িত্বভার নিয়েছেন ঋতাভরী। কিন্তু এই স্কুল, অন্যান্য স্কুলের মত নয়। এই স্কুল হল সমাজের বিভিন্ন স্তরের, 'বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন' শিশুদের মেধাভূমি। আর সেই সকল শিশুরাই হয়ে উঠেছেন, ঋতাভরীর জীবনের প্রধান অঙ্গ।
এই বিদ্যালয়ের শিশুরা মূলত মুক এবং বধির। সমাজ যাঁদের চালনা করতো প্রান্তিক ভাবে। কিন্তু হাল ধরেন 'ওগো বধূ সুন্দরী' ঋতাভরী। তাঁর তত্ত্বাবধানে এই স্কুলে শিক্ষা, সুসংস্কার এবং অফুরান স্নেহে ভরে উঠছে এই শিশুগুলির জীবন। শত ব্যস্ত হয়েও, পুজো হোক বা বড়দিন, ছোট থেকে বড় যেকোনো অনুষ্ঠান, এমনকি স্বয়ং ঋতাভরীর জন্মদিনেও তিনি তাঁর ছোট্ট বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে বাদ রাখেন না। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অবশ্য অভিনেত্রীকে আলাদা করে সময় বাড়ও করতে হয় না, কারণ তাঁরাই যে নায়িকার জীবনের রসদ।
অভিনেত্রীও প্রতিনিয়ত শিশুগুলির থেকে জীবনের সঙ্গা আহরণ করেন। এই 'নির্বাক' শিশুগুলিই তাঁকে শেখায়, আমাদের বাহ্যিক অবরণই আমাদের পরিচয় নয়। আমাদের অন্তর আমাদের পরিচয়। আমাদের পোশাক আশাক, আমাদের শরীরটুকু আমাদের 'আসল আমি' কে বহন করে না। আমরা অপর মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছি, পৃথিবীর কাছে সৎ ভাবে কতটা নিবেদিত থাকছি , সেটুকুই আমাদের পরিচয়।
বিভিন্ন সময় ঋতাভরীর জীবনে ঘাত প্রতিঘাত এসছে। মানসিক, শারীরিক দুই ভাবেই। তখন তিনি তাঁর এই শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়েই উঠে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রায়শই প্রকাশ করে থাকেন শিশুদের সঙ্গে সময় যাপনের মুহুর্ত। আর সঙ্গে যোগ করেন, তিনি কতটা কৃতজ্ঞ জীবনের কাছে, এমন সঙ্গ পেয়ে। অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও উপভোগ করেন এই মুহুর্তগুলিকে। ঋতাভরী এবং তাঁর শিশুদের জন্য ভরিয়ে দেন শুভ কামনার বার্তায়।