আরিয়ান খান ড্রাগ মামলায় বড় সাফল্য এনসিবির, গ্রেপ্তার আরো ১ বিদেশি
এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত এই মামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করে ফেলেছে এনসিবি
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান এর গাড়ি চালকের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করলো নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো ওরফে এনসিবি। মুম্বাইয়ের ক্রুজ এবং ড্রাগ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন আরিয়ান। রবিবার একজন এনসিবি অফিসার জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা বেলা ওই ড্রাইভার মুম্বাইয়ের এনসিবি অফিসে গিয়ে পৌঁছান। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই মামলা নিয়ে তিনি কিছু জানেন কিনা সেই নিয়ে। এনসিবি জানিয়েছে, তারা শনিবার রাত্রিবেলা মুম্বাইয়ের বেশ কিছু জায়গায় একাধিক খানাতল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। গোরেগাঁও, এবং মুম্বাইয়ের আশেপাশের বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে এনসিবির তরফ থেকে। এই ড্রাগ মামলায় আরো একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনসিবি, যার নাম শিবরাজ রামদাস। শুক্রবার রাত্রিবেলা মুম্বাই সান্তাক্রুজ এলাকা থেকে শিবরাজ কে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই এনসিবি।
এনসিবি সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত এই মামলায় ১৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেলেছে এ ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থাটি। এই জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় সব থেকে উপরের দিকে রয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। গত শনিবার গোয়াগামী একটি ক্রুজ থেকে আরিয়ান সহ আরো অনেক জনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এনসিবি সূত্রে খবর, আরিয়ানকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তার সাথে বেশ কিছু নিষিদ্ধ ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে। মুম্বাই এনসিবির জুনা ডাইরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে এই মামলার তদন্ত করছেন। গত বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের একটি আদালত আরিয়ান খানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। প্রথমে এই মামলার পরবর্তী তদন্ত করার জন্য এনসিবি আরিয়ানকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু আদালত পরবর্তীতে তাদের সেই দাবি নাকচ করে আরিয়ানকে বিচারবিভাগীয় আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে শেষ হওয়া খবর অনুযায়ী, এনসিবি গোরেগাঁও এলাকা থেকে আরো একজন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছেন। এনসিবি জানাচ্ছে, এই দুজনের সঙ্গে ওই ড্রাগ মামলার যোগাযোগ থাকতে পারে। এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে জানালেন, "আমরা এই মামলার সঙ্গে আরও একটি বিদেশি যোগাযোগের সন্ধান পেয়েছি। এই সমস্ত যোগাযোগ এর ব্যাপারে এনসিবি আরো ভালোভাবে তদন্ত করা শুরু করছে। এই মামলায় এটা হল ২০ তম গ্রেফতার। গতকাল রাত্রিবেলা খানাতল্লাশি করে ওই এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক।" অন্যদিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরবাজ মার্চেন্ট আগামীকাল সেশন কোর্টে জামিনের আবেদন জমা দিতে চলেছেন।