দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন : তিন বছর পূর্ণ হল অভিযানের, স্মৃতি রোমন্থনে 'সোনা দা', 'আবীর' এবং 'ঝিনুক'
রহস্য রোমাঞ্চ এবং বাঙালিয়ানার মিশেলে, জমাট বেঁধেছিল 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন'
তাঁদের প্রথম রহস্য উন্মোচন হয়েছিল, মনিকান্তপুরে। মৃত পাগলাটে মামার ধাঁধার মেঘ কাটিয়ে, সমাধানের রোদ্দুরকে প্রতিস্থাপন করতে, 'গুপ্তধনের সন্ধানে' পাড়ি দেন সুবর্ন সেন অর্থাৎ সোনা দা, এবং তাঁর 'তোপসে' আবীর, এবং আবীরের ঘনিষ্ট বান্ধবী ঝিনুক।
সোনাদার অভিযান তারপর ক্রমশ গল্প, থুড়ি রহস্য জুড়ে নিতে থেকেছে। ইতিহাসের অধ্যাপক সোনা দা, আবির ও ঝিনুকের সাথে তাঁর ছাত্রের দুর্গেশগরে অবস্থিত পৈতৃক প্রসাদসম ভিটে পরিভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। সেই ছাত্রের পিতামহ ছিলেন এককালের জমিদার এবং বাংলার খ্যাতনামা শিল্পী। পরিবারে একটি গল্পকথার প্রচলন রয়েছে, তাঁরা একবার বিপুল অর্থ সম্পদের মালিকানা লাভ করেন, কিন্তু 'গুপ্তধন' হিসেবে বিরাজ করার দরুন, তাকে মুক্ত করার সমস্ত ইঙ্গিত বিলুপ্ত হয়ে যায়। সোনা দা সেই গুপ্তধনকেই পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য পাড়ি দেন দূর্গেশগড়ে। আবীর ও ঝিনুকের সঙ্গে উদ্যত হন রহস্য উন্মোচনে।
সোনা দা, আবীর, ঝিনুক প্রত্যেক বাঙালির সঙ্গে এতই অন্তরঙ্গ, যে তাঁদের পরিচয় আলাদা করে দিতে লাগেনা। তবুও তথ্যের খাতিরে তাঁদের পরিচয় উন্মীলিত করতেই হয়। সোনা দার চরিত্রে আবীর চ্যাটার্জী (Abir Chatterjee) , আবীরের চরিত্রে অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakrabarty), এবং ইশা সাহা (Ishaa Saha) ছিলেন ঝিনুকের চরিত্রে। তিন বছর আগে, আজকের দিনেই মুক্তি পায় তাঁদের 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' (Durgeshgorer Guptadhan) ছবিটি। সেই ছবিরই এক মুহুর্ত তাঁরা ভাগ করে নিয়েছেন দর্শকদের সঙ্গে, যে মুহুর্ত এখনও তরতাজা। ছবিটিতে রহস্য রোমাঞ্চের সঙ্গে বাঙালিয়ানার সক্রিয় দোসর দুর্গাপূজার একটি জমাটি সখ্য রয়েছে। বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে, পুজোর আমেজে মিলে ছবিটিকে বাঙালির কাছে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে।
সোনা দা, আবীর এবং ঝিনুকের আসন্ন অভিযান 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' (Karna Subarne'r Guptodhon) মুক্তি পাবে চলতি বছরেই পুজোর প্রাক্কালে। ছোট থেকে বড় সকল বাঙালিই পুজোর এই 'সওগাত' পেয়ে যে যারপরনাই উচ্ছসিত হবেন, তা বলাই বাহুল্য।