তাঁকে নিয়ে ছড়িয়েছে ভুয়ো খবর, নাবালিকা হয়েও দমে থাকলেন না আরাধ্যা, দ্বারস্থ হলেন আইনের
মাত্র এগারো বছর বয়সে দেখিয়ে দিলেন প্রতিবাদের জোর, বচ্চন- পৌত্রীর প্রশংসায় দেশবাসী
২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর বচ্চন পরিবারের লক্ষ্মীর আগমন হয়। অমিতাভ-পুত্র (Amitabh Bachchan) অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) এবং স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (Aishwarya Rai Bachchan) কোল আলো করে আসেন আরাধ্যা (Aaradhya Bachchan)। শৈশব থেকেই লাইমলাইটে থাকে বচ্চন পরিবারের এই ক্ষুদে চোখের মণি। কিন্তু আলোর মাঝে থাকলেও, কালোর ভাগও কম নয় এই একরত্তি খুদের জীবনে। 'স্টারকিড' হওয়ার দরুন বিভিন্ন সময় তাঁকে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি কিছু ইউটিউব চ্যানেল তাঁদের সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছিলেন। তাঁদের কুরুচি প্রদর্শনের ভিত হয়ে উঠেছিল ছোট্ট আরাধ্যা। কিন্তু আরাধ্যা দমে থাকেনি, বরং সে নিজে এই বিকৃত মনস্তত্ত্বের ইউটিবারদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দিল্লি হাইকোর্টে।
মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়ের (Dhirubhai Ambani International School) ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ঐশ্বর্য-তনয়া। ছোট থেকেই মায়ের সাহচর্যে থাকতেই তাঁকে বেশি দেখা গেছে। সে দেশীয় কোনও আয়োজনে হোক, অথবা বিদেশে রেড কার্পেটে। কিন্তু বারবার এই ছোট্ট মেয়েটি হয়ে ওঠে চর্চামুখী। শিরোনামে উঠে আসে আরাধ্যার ব্যাক্তিগত জীবন। কিছুদিন আগে কিছু ইউটিউব চ্যানেল তাঁদের ভিডিওয় আরাধ্যার স্বাস্থ্য নিয়ে কুরুচিকর বিবৃতি প্রতিষ্ঠা করেন। সামাজিক ভাবে সক্রিয় আরাধ্যার সেই সব চোখে পড়ে যায়। কোর্টে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবতে দ্বিতীয়বার সময় নেয়নি ছোট্ট আরাধ্যা। দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করে ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে। গত ২০ এপ্রিল হল এই ঘটনার শুনানি।
দিল্লি হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি সি হরিশঙ্কর (Justice C Hari Shankar), ২০ এপ্রিল বচ্চন-পৌত্রীর এই আবেদনের শুনানি করেছেন। আইনের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে এই কুকর্মের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একজন শিশু তথা একজন মানুষ সম্পর্কে এমন বিভ্রান্তিকর, কুরুচিসম্পন্ন ভিডিও পরবর্তীতে যাতে না প্রকাশিত হয় সে বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটরসহ গুগল কর্তৃপক্ষকেও নজর রাখতে হবে।