করোনা আবহে বাতিল পরীক্ষা, সহজ পদ্ধতিতে জেনে নিন মূল্যায়নের নিয়ম
যদি কোনো পরীক্ষার্থী এই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই নেওয়া হবে তার পরীক্ষা
করোনা আবহে বাতিল পরীক্ষা। কাজেই দুই বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) এর মূল্যায়ন হবে ঐতিহাসিক ভাবে। যা এই বছর প্রথম। পরীক্ষা না নিয়েও কীভাবে সম্ভব মূল্যায়ন? বিকল্প পথ খুঁজে নিয়ে এবার ঘোষনা করল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ ও উচমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এদিন দুই বোর্ডের সভাপতিরা ঘোষণা করেছেন, মূল্যায়ন যাতে যথাযথভাবে, সবদিক বজায় রেখে করা যায়, তার জন্যই এক সমীকরণ করা হয়েছে। যার ফলে কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না পড়ুয়াদের। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ৫০ শতাংশ এবং দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের (Internal Assessment) ৫০ শতাংশ নম্বর যোগ করে তৈরি হবে মাধ্যমিকের মার্কশিট। তবে যদি কোনো পরীক্ষার্থী এতে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে নিজ স্কুলে পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। তাদের ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দেওয়া হবে চূড়ান্ত মার্কশিট।
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরির ক্ষেত্রে তিন ধাপে নম্বর দেওয়া হবে। প্রথম ধাপ অনুযায়ী, তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় যে চারটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর রয়েছে, তা যোগ করে, তার ৪০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে। এবং দ্বিতীয় ধাপ অনুযায়ী, একাদশ শ্রেনির বার্ষিক পরীক্ষায় থিওরির মোট নম্বরের ৬০ শতাংশের উপর নম্বর দেওয়া হবে। অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে থিওরি যদি ৭০ নম্বরের হয়, তাহলে তার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৪২ নম্বরের মধ্যে পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর বিবেচিত হবে। এবং তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। যা পূর্বেই নেওয়া হয়েছে। ফলত, দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যালে যে নম্বর পাবে পড়ুয়া, সেই নম্বরের পুরোটা যোগ হবে।