আমফানের ক্ষত না মিটতেই আসছে 'যশ', সতর্কবার্তা জারি বঙ্গে
দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর-সহ ৩ জেলা বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে
আয়লা, ফণী কিংবা আমফানের স্মৃতি ফিরিয়ে আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ মে নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঝড়ের অভিমূখ হতে পারে বাংলার দিকে। আর সেকারণেই প্রতিটি মিউনিসিপ্যালিটি, পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিডিওগুলিতে কন্ট্রোল রুম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেখান থেকে এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে খবরাখবর পেতে সুবিধা হবে এলাকাবাসীর।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে এই পূর্বাভাস পাওয়া মাত্রই বিপর্যয় মোকাবিলায় (Disaster management) কাজ শুরু করে দিল রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সূত্রের খবর, উপকূলের জেলা অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে। নতুন করে ত্রাণশিবির তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। নির্দেশ অনুযায়ী ২৩ তারিখের মধ্যে সমস্ত সাইক্লোন শেলটারগুলি প্রস্তুত রাখতে হবে। চাল,ডাল, ত্রিপল ও খাদ্যপণ্যও মজুত করতে হবে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ২২ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াবে সাইক্লোন (Cyclone), উত্তর আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। হাওয়ার গতি থাকতে পারে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এরপর তার গতি আরও বাড়বে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রবলতর হয়ে উঠবে। ২৫ তারিখ রাতে কিংবা ২৬ তারিখ যখন বঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়বে ‘যশ’, তখন তার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার, সঙ্গে বৃষ্টি। তাই ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।