দিনভর নাটকের পর নন্দীগ্রামে 'বিজয়ী' শুভেন্দু, মমতার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
মমতার পরাজয় মানতে নারাজ দল, গণনা আপাতত স্থগিত, পুনর্গণনার দাবি
নন্দীগ্রাম নিয়ে উত্তেজনার পারদ থামছেই না। দিনভর নাটকের যবনিকা যেন পড়ছেই না। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০২ ভোটে জিতে যায়। তার কিছুক্ষণ পর নাটকের নতুন অঙ্ক। মমতা নয়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুই জিতেছেন। গণনা কেন্দ্র সূত্রে খবর মেলে ১৯৫৩ ভোটে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এই খবর প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হার স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। তবে আমি আদালতে যাব।" তবে নন্দীগ্রামে প্রকৃতপক্ষে কে জিতেছেন তা এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়নি। বিশেষ সূত্রে খবর আপাতত ওই কেন্দ্রে গণনা স্থগিত রাখা হয়েছে। পুনর্গণনা হয় কিনা তা এখন দেখার বিষয়।
নন্দীগ্রামে কে জিতবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের মাটি কামড়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচারে কোন খামতি রাখেনি। এমন অবস্থায় রাজনীতিতে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। সকাল থেকেই কখনও এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে ঘোষণা করা হয় মমতাযই জিতেছেন। যদিও কিছুক্ষণ পর সমস্ত সমীকরণ বদলে যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, "কিছু গন্ডগোল হয়েছে। গণনায় কারচুপি হয়েছে। ঘোষণার পর ফল বদলানো হয়েছে। সেই কারচুপি আমরা খুঁজে বার করব। আদালতে যাব।"
যদিও দলনেত্রীর পরাজয় মেনে নিতে রাজি নয় দল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, "নন্দীগ্রামে গণনা শেষ হয়নি। দয়া করে এখনই কিছু রটাবেন না।" নন্দীগ্রাম নিয়ে নাটকের যবনিকা পতনের অপেক্ষায় মানুষ।