ইভিএম ভাঙচুর থেকে কাঁথিতে সাংবাদিক আক্রান্ত, বোমাবাজি কামারহাটিতে! অশান্ত বাংলার রবিবাসরীয় নির্বাচন
আজ দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ৬৫.২০ শতাংশ ভোটদান হয়েছে
রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট হচ্ছে আজকে। দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ভোট পরেছে ৬৫.২০%। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে, প্রায় ৭৬%।শান্তিপূর্ণ ভোট অধরাই রয়ে গেল এদিনও। কোথাও ছাপ্পা ভোট রুখতে না পেরে কেঁদে ভাসাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী তো কোথাও আবার তৃণমূল প্রার্থীকে জুতো দিয়ে পেটাচ্ছে সিপিএম। সেইসঙ্গে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের হুঙ্কার গর্জন তো রয়েছেই। দেখা গেল বৈদ্যবাটীর নির্দল প্রার্থী ভোট দিয়ে বেরিয়েই নিজের বিজয় উৎসব শুরু করে দিলেন। অন্যদিকে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়ায়।
অর্জুন অনুগামীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে পুলিশের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটও ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলে জখম হন এক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অর্জুন সিং এই বিষয়ে জানিয়েছেন, তিনি বুথ দখলের খবর পেয়ে দেখতে এসেছিলেন, তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ। ইভিএম ভাঙচুরের হুমকি দেওয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন অর্জুন সিংহের আত্মীয় সঞ্জয় সিংহ। জানা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংয়ের ভাইপো।
একইরকম ভাবে কাঁথি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও ইভিএম ভাঙচুর করার খবর এসেছে। প্রচার করতে বেরিয়ে অর্জুন সিং আগে হুমকি দিয়েছিলেন বুথ দখলের চেষ্টা হলে ইভিএম ভাঙচুর হবে। বাস্তবে মাটিতে দাঁড়িয়ে আজ হলও তাই। এরমধ্যেই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৮৯ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী মহুয়া দাসের শাড়ি খুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বহিরাগতরা ঢুকে ভোট লুঠ করে ও বাধা দিতে গেলে তার উপর হামলা হয় বলে জানান তিনি। সংবাদমাধ্যম খবর করতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।
গতকাল রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোয় যায় পুলিশ। সেখানে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও। খড়গপুর সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই পুরসভা এলাকার ভোটার নন, তাই তাকে নির্বাচন চলাকালীন খড়গপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে দীলিপবাবু জানান, "কর্মীরা পড়ে পড়ে মার খাবে আর আমি কি চাঁদ দেখবো বাড়িতে বসে!"। মদন মিত্রর বিধানসভা কামারহাটিতেও বোমাবাজির খবর মিলেছে। মদন মিত্র জানিয়েছেন, "পুলিশকে জানানো হলেও কোনো অ্যাকশন নেয়নি তারা"।