মুল স্রোতে ফেরার 'পুরস্কার', হোমগার্ডে চাকরি পেলেন ২২০ ‘প্রাক্তন মাওবাদী’
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে মোট ২২০ জনের চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়
সালটা ২০১১। রাজ্যে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতায় এসেই মমতা ব্যানার্জি আলাদা করে নজর দিয়েছিলেন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে। সেখানে তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, মাওবাদীদের সমাজের মুল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। চেষ্টা তিনি পুরোদমে চালিয়েও গেছেন। এবার সেই লিস্টে নতুন সংযোজন, অস্ত্র ফেলে রেখে মুলস্রোতে ফেরা ২২০ জন মাওবাদীকে হোমগার্ড পদে নিয়োগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ প্রশাসন এদিন ১১০ জন ‘প্রাক্তন’ মাওবাদীকে পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগ করেন। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া থেকে আরও ১১০ জন কে নিয়োগ করা হয়।
এর আগেও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নের জন্য মমতা সরকার ঘোষণা করেছে একাধিক পুনর্বাসন প্রকল্পের। আর তার পর থেকেই শুরু হয়েছে মাওবাদীদের ‘ঘরে ফেরা’। কখনও তাঁরা নিজেদের গ্রামে আবার কখনও সরকারী অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে হাতের বন্দুক তুলে দিয়েছেন সরকারের হাতে। শতাব্দীর শুরুর দিকে হওয়া মাওবাদী আক্রমণ এখন প্রায় বিরল বললেই চলে। এদিন যে ২২০ জন চাকরি পেলেন, তার মধ্যে ৫৯ জনই মাও-অধ্যুষিত শালবনি ব্লকের। এছাড়াও গরবেতা, গোয়ালতোড়, কোতোয়ালি এবং গুড়গুড়িপালের মোট ৫১ জন এদিন চাকরি পেয়েছেন বলে সুত্রের খবর। এছাড়াও ঝাড়গ্রামে ৮০ জন, বাঁকুড়ায় ১১ জন এবং পুরুলিয়ায় ১৯ জন মুলস্রোতে ফেরা মাওবাদী চাকরি পান আজ।
তবে এটাই প্রথম নয়। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় মাওপন্থা থেকে মুলস্রোতে ফিরে আসা ১৩০০ জন কে আগেই এই চাকরি প্রদান করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ৫০০ র বেশি এরম পরিবারে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যাদের কেউ না কেউ মাওবাদী আক্রমনে প্রান হারিয়েছেন। এই ২২০ জন তাতে নতুন সংযোজন। এই সরকার জঙ্গলমহলে মাওবাদী রাজ কে যেভাবে মোকাবিলা করে পথভ্রষ্ট গ্রামবাসীদের মুলস্রোতে ফিরিয়েছেন, তা এককথায় প্রসংশার যোগ্য।