রাজ্যের ৪টি ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রতিবাদে চিঠি অমিতের
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র
শুধু সেল এবারে কলকাতার আরও চারটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কে চিঠি লিখলেন অমিত মিত্র। রাজ্য সরকারের অর্থমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিবোর্ড, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স এবং কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের সদর দপ্তর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেলের অফিস এক্ষেত্রে একইরকমভাবে সরিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বাকি চারটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সদর দপ্তর থেকে অন্যত্র না সরানো হয় সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
টিবোর্ড এর সদর দপ্তর দীর্ঘ ৬৭ বছর ধরে কলকাতায় স্থাপিত। এছাড়াও রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন ন্যাশানাল ইনসিউরেন্স এবং কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ। এরমধ্যে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ শতাব্দীপ্রাচীন একটি সংস্থা। এই সমস্ত সংস্থার সদর দপ্তর কেন্দ্র এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন অমিত মিত্র। ধর্মেন্দ্র প্রধান কে তিনি এই নিয়ে দ্বিতীয় চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে। আগের চিঠিতে তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় ভরাডুবির পরেই কার্যত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অমিত মিত্র বলেছেন, একের পর এক কারখানাকে রাজ্য থেকে গুটিয়ে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কসের কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, তারপরে কোল ইন্ডিয়ার সহায়ক অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এছাড়াও দীর্ঘ দিনের পুরনো ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সদর দপ্তর ২০২০ সালে কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর এবারে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাঁচামাল বিভাগের দপ্তর কলকাতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠির শুরুতেই তিনি লিখে দিয়েছেন আগের চিঠির উত্তর দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদিও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এরকম ভাবে যদি কোন সদরদপ্তর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে সেখানকার কর্মীরা কাজ হারাবেন। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন সকলে। সেলের কর্মী এবং তাদের পরিবার এর সঙ্গে জড়িত। শুধুমাত্র চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা না, স্থায়ী কর্মীরাও এরকম অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে পরিবার-পরিজন ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হবেন। তাই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন যেন সেলের দপ্তর স্থানান্তর না করে কেন্দ্রীয় সরকার।