নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে রাজনৈতিক হামলার অভিযোগ ভুরিভুরি। এ নির্বাচনেও যত্রতত্র ঘটছে। দিনহাটার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর বিজেপি কার্যালয়ে হামলা, সবক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল শাসকদলের দিকে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক হিংসা প্রতিহিংসার ছবি ততই বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ নিলেও রাজনৈতিক হিংসা থামানো যাচ্ছে না। গতকাল দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। অভিযোগের তির ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস তা অস্বীকার করেছে। তার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঠিক একই ভাবে বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর গ্রামে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির সেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। মঙ্গলবার একদল দুষ্কৃতী বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে খবর। সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তৃণমূলের কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ধ্রুব সাহার স্পষ্ট দাবি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করলে এলাকার একটিও তৃণমূল কার্যালয় রাখবেন না।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট অভিযোগ এ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই। বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে। আর এখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, "এসব বিজেপির অন্তর্কলহের ফল। বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।"
এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও মানুষের আতঙ্ক যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।