ত্রিপুরা পুরভোটে প্রকাশ্যে শাসকদের ভোট সন্ত্রাস, টুইটারে সরব তৃণমূল-সিপিএম
একাধিক ভিডিও প্রমান থাকা সত্ত্বেও বিরোধী অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে বিজেপি
যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই খবরের কেন্দ্রে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলা রাজ্য ত্রিপুরা, তা শুরু হয়ে গিয়েছে আজ সকাল থেকে। তবে দিনের শুরু থেকেই সে রাজ্য থেকে একের পর এক ভেসে আসছে শাসকদলের সন্ত্রাসের খবর। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি। তাঁদের দাবী, ছাপ্পা ভোট থেকে শুরু করে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে রিগিং, ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বার হতে না দেওয়া কোনোকিছুই বাকি রাখেনি সে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। এমনকি তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ এসেছে, তাঁদের প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টকে মারধোর করে মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে শাসকদলের সন্ত্রাসের ভিডিও শেয়ার করেছে তৃণমূল-সিপিএম উভয়েই।
ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলা-সহ ১৩ টি পুর অঞ্চলে চলছে পুরভোট। সেখানেই আগরতলা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথের ভিডিও শেয়ার করেছে তৃণমূল এবং সিপিএম। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধ ইভিএম মেশিনের সামনে যেতে তাঁর হয়ে ইভিএমের বোতাম টিপে দিলেন কালো জামা, মুখে নীল মাস্ক পরা এক যুবক। ভিডিওটি শেয়ার করে তৃণমূল দাবী করেছে, ‘আগরতলায় মুক্ত এবং স্বচ্ছ নির্বাচন প্রহসনে পরিনত হয়েছে’।
শুধু তাই নয়, তৃণমূল এও অভিযোগ তুলেছে, পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের এক প্রার্থীকে মারধোর করেছে বিজেপির গুণ্ডারা। টুইটারে আহত প্রার্থীর ছবিও শেয়ার করেছে তৃণমূল। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটারদের ভোট দিতে যেতে দিচ্ছে না বিজেপি, এই নিয়েও অভিযোগ জানিয়ে টুইটারে ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা। ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডেও বিজেপির ভোট রিগিংয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল।
পাশাপাশি এদিন সিপিএম-ও অভিযোগ করেছে, আগরতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা জমা হচ্ছে এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের তারা ভোট দিতে দিচ্ছে না। তবে একাধিক ভিডিও প্রমান থাকা সত্ত্বেও বিরোধী অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে বিজেপি। সব মিলিয়ে পুরভোটের দিনও উত্তপ্ত ত্রিপুরা।