উপনির্বাচনে হারবে তৃণমূল, জয়ী হবে বিজেপি : ফের বেসুরো মুকুল রায়
তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির জয়ের গুনগান গাইছেন মুকুলবাবু!
এই তো সদ্য মুকুল ফুটেছিল ঘাসফুলে, তাহলে ফের কেন পিছুটান? 'উপনির্বাচনে হারবে তৃণমূল', এদিন সাংবাদিকদের সামনে এমনই ভবিষ্যদ্বাণী মুকুলের। এদিন কৃষ্ণনগর পুরসভা ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একাধিকবার বিজেপির জয় এবং তৃণমূলের পরাজয়ের কথা বলে অস্বস্তিকর পরিবেশে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্ণনগর পুরসভায় সাংগঠনিক কাজে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। ওই এলাকার বিজেপি বিধায়ক এখনও তিনিই আছেন। বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র টিকিটে জেতেন মুকুল। তবে তারপর দল ছেড়ে আবার নিজের ফেলা আসা দল তৃণমূলে ফিরে যান। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিও তুলেছিল বিজেপি। তবে তার পদ এখনও খারিজ হয়নি। যে কারণে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য বিধানসভার প্যাক চেয়ারম্যান পদে আছেন মুকুলবাবু।
এই বৈঠকেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন, কৃষ্ণনগর থেকেই কি রাজ্যে সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তার করেছিল বিজেপি? জবাবে মুকুল বলেন, "সামগ্রিক ভাবে কৃষ্ণনগরে মানুষের আশীর্বাদ সঙ্গে ছিল। তারই ফল মিলেছে।’’ এরপরেই মুকুলবাবু বলেন, "দেখা যাক উপনির্বাচন হোক। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি তৃণমূল উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা পাবে। এখনে তৃণমূল হেরে যাবে।" এই বক্তব্যের পরেই রীতিমতো হকচকিয়ে যান শাসকদলের নেতা-কর্মীরা।
এরপরেই নেতা-কর্মীরা ভুল শুধরে দিতেই, পরক্ষণেই নিজের ‘বয়ান’ বদল করেন মুকুলবাবু। বলেন, "বিজেপির (BJP) অস্তিত্ব থাকবে না। মা মাটি মানুষের কাছে তাদের সঙ্কট প্রতিষ্ঠিত হবে। ওটা স্লিপ অফ টাং।” এরপরেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন, আপনি তাহলে বিজেপির পরাজয় চাইছেন তো? জবাবে মুকুলবাবু বলেন, "নিঃসন্দেহে। বিজেপি-র অস্তিত্ব থাকবে না।’’
উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। যার জন্য কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় নিজেকে বিজেপি নেতা হিসেবে মেলে রাখেন। আবার অনেকেরই জবাব, এতদিন বিজেপির স্লোগান দিয়ে তৃণমূলের জয়গান এখনও ঠিক মতোন আয়ত্তে আনতে পারেনি মুকুল।