"শীতলকুচি করতে যাবেন না" ভোটের দিন পুলিশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
জমায়েত সরাতে গিয়ে হুমকির মুখে পুলিশ
ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতার বচসা ঘিরে শীতলকুচির প্রসঙ্গ উঠে এল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম বিধানসভার প্রতাপপুর অঞ্চলে। বিশেষ সূত্রে খবর, পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এক তৃণমূল নেতা। সেই নেতা রীতিমতো পুলিশদের হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। তিনি বলেন, "এখানে কি শীতলকুচি করার চেষ্টা করছেন নাকি? এখানে শীতলকুচি করতে যাবেন না। ৩ দিন পর আমাদের সরকার আসবে। তখন আমরা দেখে নেবো কার কত ক্ষমতা। চমকাবেন না, ধমকাবেন না। আমার হাতেও লোক আছে।"
সূত্রে খবর, ভালকি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অরূপ মিদ্যা পুলিশের দুই কর্মীকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতাপপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছাকাছি জমায়েত হয়েছিল। নিরাপত্তায় থাকা পুলিশকর্মীরা সেই জমায়েত সরাতে গেলে এক তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়। তৃণমূল নেতা অরূপ মিদ্যা পুলিশের দিকে আঙ্গুল তুলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। শীতলকুচি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "ভোট আমাদের গ্রামে উৎসব। এখানে খাওয়া-দাওয়া হবে। লোক জমায়েত হবে না? আমার হাতেও লোক আছে। ৩ দিন পর আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসবে। তখন দেখে নেব আপনাদের ক্ষমতা।"
এই ঘটনার ভিডিও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিন্দার ঝড় ওঠে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, "এ ঘটনা নিন্দাজনক। শীতলকুচির প্রসঙ্গ এনে এই ধরনের মন্তব্যের জবাব মানুষই দেবে।" সকাল থেকে আউসগ্রাম বিধানসভার বিভিন্ন বুথে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার খবর আসছিল। আউসগ্রামের ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক জমায়েতের অভিযোগ ওঠে। এমনকি ২২৭ ও ২২৮ নম্বর বুথে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।