মেদিনীপুরে যৌন লালসার শিকার বিশেষভাবে সক্ষম যুবতী, ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য
পরপর রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তুমুল উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
পরপর ধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে! মালদহ, কাকদ্বীপ, হাঁসখালি, বোলপুরের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর। পিংলা থানার অন্তর্গত এলাকায় একজন বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুদিন আগে ২৮ বর্ষীয়া যুবতী কালুখাড়া গ্রামে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়ার বাড়ি। সোমবার একটি পুকুরে স্নান করার প্ল্যান করেন তারা। সেইসময়ে পুকুরে ছিলেন স্থানীয় যুবকেরা। মহিলারা স্নান করবেন বলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় পুকুর থেকে। তখন জল থেকে উঠে পড়লেও পরে বাঁধে বচসা, যদিও পরে তা মিঠে যায়।
সেদিন রাতেই দিদির সঙ্গে ফের ওই পুকুরেই বাসন মাজতে যান যুবতী। অভিযোগ, সেইসময়ে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অভিজিৎ মণ্ডল তাঁর মুখ চেপে টেনে নিয়ে যান। ঝোপে ধর্ষণ করা হয় তাকে। পরে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পরিবার পরিজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ বেড়া ও পুলিশ। তবে পঞ্চায়েতের সদস্য জড়িত থাকায় নির্যাতিতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বিষয়টি চেপে যাওয়ার। এমনকি পিংলা থানার দারোগা তাদের অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করেন।
নির্যাতিতার পরিবার এরপর দ্বারস্থ হন মেদিনীপুর জেলা আদালতে। সেখান থেকে কোতুয়ালি থানায় কেস হ্যান্ডওভার করা হয়। তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্ত অভিজিৎকে আটকও করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত সুপার রানা মুখোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনায় পরিবার এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। সেই অভিযোগ পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে অভিজিৎকে। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তও শুরু হবে।