খানাকুলে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত বিজেপি
দুদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েও শেষরক্ষা হলনা
বাংলার বিধানসভা নির্বাচন এখন মধ্যগগনে, একটুও কমেনি হিংসা ও খুনোখুনি। শাসকদল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী বিজেপির এই পারস্পরিক দ্বন্দ্বে বলি হয়েছে কত-শত প্রাণ। ফের একবার খানাকুলে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার দায়ে সরাসরি অভিযোগ উঠলো স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দিকে। গত ৬ই এপ্রিল তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র ছিল খানাকুল। আর ওই দিনই ভোটগ্রহণ মিটে যাবার পর খানাকুলের অরুন্ডা এলাকায় ওই তৃণমূল কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে ব্যপক মারধর চালান বিজেপি কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর চুয়াল্লিশের ওই মৃত ব্যক্তির নাম কানু দলুই। ভোটের কাজ মিটে গেলে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় একদল 'বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী' এবং তাকে বাড়ি থেকে জোর টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যপক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় কানু দলুইকে ফেলে যায় তারা। স্থানীয়দের তৎপরতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার পাঁচারুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কানু দলুইকে। টানা দু'দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েও শেষরক্ষা হলনা। গতকাল সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ মারা যান ওই তৃণমূল কর্মী। আর এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙ্গুল তুলেছে নিহতের পরিবার। হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন ওরা বেশ কয়েকদিন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। যদিও বিজেপির তরফ থেকে একে স্রেফ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে।