শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় রোড-শো করতে গিয়ে ঝাঁটা-জুতো-কালো পতাকার সম্মুখীন বৈশাখীসহ শোভন
রত্নাদেবী দিনে একশোবার কাকে ফোন করতেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন দুলাল দাস : শোভনের পাল্টা আক্রমণ
বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহেশতলায় বিজেপির প্রচারে এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন শোভন-বৈশাখীরা। রত্নাদেবীর সাথে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়ায় মহেশতলাকে তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা বলাই যায়। আর সেখানেই বৈশাখী সহ ব়্যালি করতে গিয়ে রীতিমতো রাস্তার দুপাশে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ঝাঁটা-জুতো-কালো পতাকার মুখোমুখি হলেন শোভনরা। সাথে বড়ো বড়ো ব্যানারে ভরে যায় এলাকা যাতে লেখা, "ছি! শোভন-বৈশাখী, তোমাদের আগমনে মহেশতলাবাসী লজ্জিত, তোমাদের ধিক্কার— মহেশতলাবাসী।" আর এসবকিছুই রত্নার বাবা অর্থাৎ মহেশতলার তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাসের পূর্বপরিকল্পিত, এমনটাই ক্ষোভ উগরে দেন শোভন।
জিঞ্জিরাবাজার থেকে মোল্লার গেট পর্যন্ত এই মিছিল শেষে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শোভন বলেন, "মহেশতলায় যাদের সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েছিলাম, তাদের হাতেই এখন কালো পতাকা!" আরও বলেন, "কোনও কোম্পানি উঠে যাওয়ার সময়ে ‘লালবাতি জ্বলে গিয়েছে’ বলা হয়। তখন নতুন নামে কোম্পানি খুলতে হয়। তৃণমূলের লালবাতি জ্বলে গিয়েছে।" তৃনমূল প্রসঙ্গ ছেড়ে রোড শো চলাকালীনই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা টেনে এনেও আক্রমণে শাণ দেন শোভন: "দুলাল দাসের অনেক দ্বিচারিতা রয়েছে। এখানে ওঁর অনেক গুদামঘর রয়েছে। সেই সব গুদামঘরের একাংশের জমির মালিকানা আমার। আমার প্রাপ্য টাকার হিসেব করা হলেও তিনি এখনও তা দেননি। উনি বলেন, মেয়ের ভরণপোষণ করবেন। তাই ওঁর টাকা দরকার। কিন্তু ওঁর মেয়ে সংসার করার মেয়ে নন। ওঁর সেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই আমি ছেড়ে চলে গিয়েছি। তখন তো উনি বলেছিলেন, মেয়েকে বসিয়ে খাওয়াবেন। তা হলে আমার অর্থ কেন আটকে দিয়েছেন?" একইসঙ্গে বলেন, "রত্নাদেবী দিনে একবার আমায় টেলিফোন করতেন। আর একশোবার কাকে ফোন করতেন, তার খোঁজ নিয়ে দিন দুলাল দাস।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই একই রোড শো থেকেই সদ্য মানহানির মামলাকারী দেবশ্রী রায়কেও 'ডাইনি' বলতে ছাড়েননি শোভন।