সোনারপুরে ফাঁদ পেতে তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি
পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুই
বিধানসভা নির্বাচন মধ্যগগনে। রাজনৈতিক হিংসা পিছু ছাড়ছেনা বঙ্গবাসীর। ভোট-পূর্ববর্তী হোক বা ভোট-পরবর্তী, রাজনৈতিক হিংসার মেজাজ সেই সপ্তমে। চার দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রের নামে খুন-জখম, বোমাবাজি-গোলাগুলির উৎসব চলছে। এবার সোনারপুরের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জড়াল শাসকদল ও প্রধান বিরোধী বিজেপি। তৃণমূল কর্মীদের মারধরের ঘটনায় নাম জড়ালো বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
ঠিক কি হয়েছিল? জানা গেছে, গত রাতে সোনারপুর রাজপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জলপোল এলকায় আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। দলীয় নেতাকে আক্রমণ করা হয়েছে, এমনটা শুনে তৃণমূল কর্মীরা ছুটে গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে তাদের ওখানে আনার জন্য ফাঁদ পেতেছিল বিজেপি কর্মীরা। চার দিক থেকে ঘিরে ধরে লাঠি, বন্দুকের বাঁট ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তারা। মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে নিমাই সর্দার ও রণ সর্দার নামে দুই তৄণমুল কর্মীর। ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরমাতা পাপিয়া হালদার স্পষ্ট জানান, ভোটে খারাপ ফল হবে জেনেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে বিজেপি। যদিও এসব অভিযোগে মান্যতা না দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, এসবই তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা।