এবার রাজ্যের স্কুল পাঠ্যক্রমেও করোনা, চলছে আলোচনা
ষষ্ঠ এবং একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে থাকছে করোনা নিয়ে বিশেষ আলোচনা
গত প্রায় দু বছর ধরে কোভিড (Covid-19) অতিমারি বিশ্বের মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছে। করোনা সমাজের সবক্ষেত্রেই কমবেশি প্রভাব তৈরি করেছে। বদল ঘটিয়েছে চিরাচরিত জীবনধারাকেও। এককথায় কোভিডের প্রভাব কেবল সাময়িক নয়, বরং তা সুদূরপ্রসারী। করোনা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। পাশাপাশি বিষয়টি পাঠ্যক্রমে (Curriculum) অন্তর্ভুক্ত করা যায় কী না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সিলেবাস কমিটি ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন। তবে পুরো বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। কীভাবে মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাসে এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ শ্রেণির ক্লাসে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা বিস্তর আলোচনা চলছে। বিষয়টি তৈরি হলে সিলেবাস কমিটির তরফে অনুমোদন পেতে পারে।
পাঠ্যক্রমে বিষয়টি হঠাৎ-ই অন্তর্ভুক্তির কারণ কী? এ প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, বিগত বছর দুয়েক কোভিড পরিস্থিতি সমগ্র বিশ্বের অবস্থানটাই বদলে দিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের গৃহবন্দি জীবনের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব তৈরি করেছে এই করোনা ভাইরাস। তাই শিক্ষার্থীদের এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা উচিত। মূলত ভাইরাসটির গঠন, কীভাবে ছড়ায়, শরীরে কী কী ক্ষতি করতে পারে, কীভাবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারি প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। তবে ষষ্ঠ শ্রেণির ক্লাসে তুলনায় সহজভাবে তুলে ধরা হবে। কিন্তু একাদশ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বইতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে। এমনকী আগামীতে এই ভাইরাসের উপর নতুন কোন গবেষণা হলে সেই তথ্যগুলিও পরে তুলে ধরা হবে বলে খবর।
অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, বিষয়টি সিলেবাসে এলে বরং সচেতনতা বাড়বে। এমনিতেই টেলিভিশন, সংবাদমাধ্যম-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে গত প্রায় ২ বছর ধরে প্রচার চলছে। পাশাপাশি সিলেবাসে এলে পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ তো তৈরি হবেই। আর এক শ্রেণির শিক্ষকদের বক্তব্য, বিষয়টি সিলেবাসে আসুক। তবে তা যেন পড়ুয়াদের উপযোগী হয়। আর বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন। তাই সময়ে সময়ে তার বদল না হলে পড়ুয়াদের কাছে ভুল তথ্য যেতে পারে। সে দিকটিও সিলেবাস কমিটিকে সজাগ থাকতে হবে।