শীতলকুচির সেই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এল, সব ষড়যন্ত্রের অবসান দাবি তৃণমূলের
সাড়ে ১০ মিনিটের এই ভিডিও ফুটেজে জনতার কোলাহল, আর্তচিৎকার, গুলির শব্দ, রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে
১০ এপ্রিল ৪ দফায় শীতলকুচি ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কারণ গ্রামবাসী কেন্দ্র বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল। যদিও তার কোন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। বুধবার শীতলকুচি ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। (পরিদর্শক এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি ) যেখানে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতা লাঠি, বাঁশ হাতে দৌড়াদৌড়ি করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রীতিমতো উত্তেজিত অবস্থায় এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছিল। পরপর কয়েকটি গুলির শব্দ, সব নিশ্চুপ, হঠাৎ সাধারণ মানুষের আর্তচিৎকার, যেখানে সেখানে কয়েকটি লাশ পড়ে রয়েছে। উত্তেজিত জনতা একটি সরকারি বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করছে। মনে করা হচ্ছে ওটাই শীতলকুচি ১২৬ নম্বর বুথ আমতলি মাধ্যমিক স্কুল। কিন্তু কে বন্দুক চালাল, কেন চালাল সে উত্তর এখনও অমীমাংসিত থেকে গেছে!
শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের চাপানউতোর চলছেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে 'গণহত্যা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কমিশনকে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, ওখানকার উত্তেজিত জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়ও একই কথা শোনা গিয়েছিল। সাড়ে ১০ মিনিটের এই ভিডিও ফুটেজে জনতার কোলাহল, আর্তচিৎকার, গুলির শব্দ, রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এই ভিডিও টুইট করেছেন। বলেছেন, "প্রতিটি সত্য প্রকাশে এল। একে অপরকে বাঁচানোর ষড়যন্ত্র পরাস্ত হলো। প্রমাণিত হয়েছে গ্রামবাসীরা সরকারি কর্মীদের কোন ক্ষতি করেনি। সরকারের উপর ভরসা রাখুন সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে।" সব মিলিয়ে শীতলকুচির ঘটনা আজও সাধারণের কাছে পরিষ্কার নয় বলে পর্যবেক্ষক একাংশের মত।