রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর
মমতার বাতিল হেলিকপ্টার সফর, সড়কপথেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী
টানা বর্ষণে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা (Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী কোন জেলার কী পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতির খুঁটিনাটি, প্রাণহানি কত জনের তা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পাশাপাশি দু'জনের মধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী করণীয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে আজ হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রীর হাওড়া হুগলির বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তার জন্য খানাকুলে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরিও হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার ক্রমাবনতিতে আকাশ পথে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। তিনি সড়কপথে বেশ কিছু স্থানে গিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে প্রথমে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে যাবেন। সেখানকার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর ফের সড়কপথে হুগলির খানাকুল যাবেন। বৃষ্টি কমলেও ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে গতকাল ফের কিছু জায়গা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র সরকার চক্রান্ত করে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যে চাপানউতোর অব্যাহত।
টানা বর্ষণ এবং জলাধার গুলির বাড়তি জলের চাপে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের অবস্থা অতি উদ্বেগজনক। গতকাল অভিনেতা তথা সাংসদ দেব নিজের এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলেছেন। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মঙ্গলবার হাওড়া উদয়নারায়ণপুরে এক কিশোরীর মৃত্যুও হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। বাড়িঘর জলের নীচে চলে যাওয়ায়, স্কুলবাড়ি, ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সঙ্গে রয়েছে জলকষ্টও। সব মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি অতি উদ্বেগজনক।