প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কাজ শুরু দুয়ারে দুয়ারে রেশনের
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি হিসেবে ছিল "দুয়ারে দুয়ারে রেশন"
ভোট প্রচারে একাধিক রাজনৈতিক দল, একাধিক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে সব এখন অতীত কারণ তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি হিসেবে ছিল "দুয়ারে দুয়ারে রেশন"। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোটে জিতলে বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন পৌঁছে দেবে তৃণমূল সরকার। এবার সেই প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
এদিন মঙ্গলবার খাদ্যভবনে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার পাইলট প্রজেক্ট (Pilot Project) হিসেবে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশনের কাজ। এতে রাজ্যের মোট ২৮ টি রেশন দোকান থেকে জনগণের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি এবং বহু রেশন ডিলার। তবে উপস্থিত থাকতে পারেননি নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুক্রবার খাদ্যবণ্টন শুরু হবে দুয়ারে দুয়ারে।
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এদিন বৈঠক শেষে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপস ডিলার ফেডারেশনের (AIFPSF) সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, তাঁদের তরফে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এতে ফেডারেশনের প্রস্তাব, যেহেতু বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া খুবই বড় কাজ, রেশন দোকানের কর্মীদের তাই সবরকমভাবে প্রস্তুতির জন্য খানিকটা সময় দরকার। তাই তাঁদের অনুরোধ, প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হলে প্রথম ১৫ দিন গ্রাহকরা রেশন দোকানে এসে খাদ্যসামগ্রী নিন, পরের ১৫ দিন রেশন দোকানের কর্মীরা যাবেন বাড়ি বাড়ি। তাতে সমন্বয় ঠিক থাকবে।
এই প্রকল্পে কতটা সাফল্য মিলল, তা নিয়ে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।