"কেন শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল এসএসকেএম?", টুইট করে পরোক্ষে কটাক্ষ শুভেন্দুর
এসএসকেএমকে শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের পক্ষপাতদুষ্ট বলেই অভিহিত করেছেন
রাজনৈতিক তরজায় এবার জুড়ল এসএসকেএম এবং সেখানকার চিকিৎসকদের নাম। আজ মধ্যদুপুর নাগাদ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তৎকালীন মুচমুচে খবর সিবিআই ভার্সেস অনুব্রতর রোগভোগকে কটাক্ষ করে একটি দারুন লেখা পোস্ট করেন তিনি। এর মূল বিষয়বস্তু হল, পশ্চিমবঙ্গের সেরা হাসপাতাল হল এসএসকেএম কারণ সিবিআইয়ের তলব পড়লেই তৃণমূলের নেতারা অসুস্থতার বাহানায় উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে যান এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চিকিৎসকরা একটি লম্বাচওড়া রোগের ফিরিস্তি দিয়ে বসেন। অর্থাৎ, পারতপক্ষে এসএসকেএমকে তিনি শাসকদলের পক্ষপাতদুষ্ট বলেই অভিহিত করলেন।
ট্যুইটারে পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে লেখা, "সময়োপযোগী প্রশ্ন ও প্রাসঙ্গিক উত্তর"। পরীক্ষার মরশুমে একটি বোর্ডের উপর সাদা কাগজে প্রশ্ন লেখা, "পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ হাসপাতালের নাম কী? কোন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার?" এরপরই নীল কালিতে লেখা উত্তর, কিছুটা এরকম, "পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ হাসপাতালের নাম হল এসএসকেএম। তোলামুল (তৃণমূল) নেতাদের সিবিআই ডাকলেই এখানে উডবার্ণ নামক বিশেষ ওয়ার্ডে বেড খালি পাওয়া যায় এবং ডাক্তারবাবুদের এক বিশেষ টিম গঠন করা হয় যার কাজ হল রোগী কোন রোগে আক্রান্ত হলে লোকে কম হাসবে তা খুঁজে বের করা ও কত বেশি দিন বিনা রোগে কাউকে আটকে রাখা যায় তা গবেষণা করা। রোগী এখানে ভর্তি থাকতে পারলে এত আনন্দিত হয় যে শুধু তার একার নয়, তার বাড়ির লোকজন, সহকর্মীগন, বন্ধুবান্ধব সবার ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।"
এরপরই নীচে তিনি উদাহরণস্বরূপ কয়েকজনের নাম দিয়েছে তাদের মধ্যে মদন মিত্র রয়েছেন, রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল, প্রতীক দেওয়ানরা। এই গোটা উত্তরটিকে দশে দশ দিয়ে 'গুড' রিমার্ক করা হচ্ছে। বুঝতে আর বাকি রইল না যে এই কটাক্ষটা অনুব্রত মন্ডলকে উদ্দেশ্য করেই করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার বীরভূম থেকে কলকাতা রওনা দিলে সকলে ভেবেছিলেন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন কেষ্ট মন্ডল। তবে চিনার পার্কের বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে এসএসকেএমে গিয়ে ভর্তি হয়ে যান তিনি। এই নিয়ে পঞ্চমবার সিবিআইয়ের তলবে হাসপাতালে গিয়ে শুয়ে পড়লেন অনুব্রত। এনিয়ে প্রশ্ন উঠলে তৃণমূলের শীর্ষ কর্তারা এটিকে অনুব্রতর ব্যাক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।