মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগ করতে আদালতের দারস্থ শুভেন্দু
সারা দেশে যেমন আর কোথাও ভুয়ো টিকা পাওয়া যায় না, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয় না : রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর
মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের অভিযোগের শুনানির পর ফের আরও একবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে এসে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, "স্পিকারের সঙ্গে কী কথা হল, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শুনানি নিয়ে মন্তব্য করব না। ওটা আইনের বিষয়। দলবদলের ঘটনা গত ১০ বছরে ৫০টা ঘটেছে। সারা দেশে যেমন আর কোথাও ভুয়ো টিকা পাওয়া যায় না, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয় না।"
শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, "পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলছি, তৃণমূলের পরিচালিত ব্যবস্থার উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা বিজেপি-র পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেব। তথ্য প্রমাণ জমা দেব। এই ধরনের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে শুনানি শেষ হয়, তার জন্য আবেদন করব। বাম পরিষদীয় দল যখন দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেছিল, তখন ২৩টি শুনানি হয়। তাও নিস্পত্তি হয়নি। তাই এই ব্যবস্থার উপরে আস্থা নেই। রাজ্যে যাতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয়, তার জন্য আবেদন করা হবে। এর পাশাপাশি আদালতে আবেদন করা হবে এই বিষয় নিষ্পত্তির জন্য যেন নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় আদালত।"
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এদিন আরও দুই বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন৷ মুকুল রায় যে বিজেপি থেকে নির্বাচিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, সেই অভিযোগের সমর্থনে বেশ কিছু অডিও এবং ভিডিও ক্লিপিংস সহ বেশ কিছু নথি অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়৷