'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে কেন্দ্রের চেয়ে বেশী অর্থ প্রদান করবে রাজ্য, ঘোষিত হল অর্থমূল্য
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সাথে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
কৃষকদের জন্য সুখবর। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জয়লাভের পর 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে কৃষকদের জন্য আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভের পর এবার সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতেই গতদিনের মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই বর্ধিত অর্থমূল্য ঘোষণা করা হল। এতদিন ওই প্রকল্প মারফৎ কৃষিজীবীরা বছরে ৬ হাজার টাকা পাচ্ছিলেন, তবে এবার তা বেড়ে হল ১০ হাজার টাকা। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এই 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে ঘোষিত অর্থমূল্য কেন্দ্রের 'প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সন্মান নিধি যোজনায়' দেওয়া অর্থকেও ছাপিয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, গত বুধবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনের প্রধান নেতা রাকেশ টিকায়েত।
নবান্ন সূত্রে খবর, এক একর বা তার অধিক জমির উপভোক্তা যারা 'কৃষক বন্ধু' প্রকল্পে নথিভুক্ত, তারা বার্ষিক দুবার পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা পাবেন। অন্যদিকে, এক একরের কম জমির উপভোক্তা যারা এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রিকৃত, তাদের ন্যূনতম আর্থিক সহায়তার পরিমাণ দু'হাজার থেকে বাড়িয়ে চার'হাজার করা হবে। প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার পাবে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ।
নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকবার কৃষকদের দেওয়া এই প্যাকেজকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বেঁধেছে।কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল, তাদের প্রকল্প গ্রহণ না-করে কৃষকদের অনেক রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, 'কৃষক বন্ধু'-ই সেরা প্রকল্প। আর এখন কেন্দ্রের প্রকল্পকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাদের টেক্কা দিল রাজ্যের এই নতুন প্যাকেজ। একইসাথে এই বৈঠকে স্থির হয়, ইয়াসের ক্ষতি পূরণ করতে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৯২০ একর উঁচু জমিতে সমবায় পদ্ধতিতে নোনা জলে চাষ করার মতো কয়েকটি প্রজাতির ধানের বীজতলা তৈরি করা হবে। এই খাতে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।