কৃষকদের জন্য কল্পতরু রাজ্য সরকার, আলু চাষীদের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত রাজ্যের
এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছেন বহু চাষী
রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে কৃষকদের উদ্দেশ্যে নেওয়া হল একটি বড় পদক্ষেপ। এবারে ভালো জাতের আলু উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের সাহায্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে উন্নত মানের চারা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার, যা সরাসরি বিতরণ করা হবে আলুচাষিদের কাছে। ফলপ্রসূ রাজ্য সরকার মনে করছে, একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়বে, ঠিক একইভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের আলু চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা।
একটি পরিসংখ্যান থেকে উঠে আসছে, ২০২১-২২ সালে ৯০ হাজার মাইক্রো প্লান্ট এবং ৭.২ লক্ষ মিনিটিউবার এবং ৩১০ মেট্রিক টন অ্যাডভান্স জেনারেশন সিড চাষীদের দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ১৩টি সরকারি ফার্ম এবং তিনটি গবেষণা কেন্দ্র এই নিয়ে কাজ শুরু করেছে। উন্নত মানের প্রযুক্তি চাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষি দপ্তর এর তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নেট হাউস, উৎপাদন এবং উন্নত মানের চারা কেনার জন্য ভর্তুকি দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে যার নাম বঙ্গশ্রী। এর মাধ্যমেই কৃষকদের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার মেদিনীপুরের আনন্দপুর ফার্মের আলু এবং সবজি চারা বানানোর ইউনিট পরিদর্শন করলেন কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এবছরের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষক বন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা রেখেছেন। ইতিমধ্যে কৃষকরা বছরে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পেতে শুরু করেছেন। এক একরের কম যাদের জমি রয়েছে, তাদেরকে ৪ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সমস্ত কৃষককে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে রাজ্য সরকার একাধিক কর্মসূচি শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্ষেতমজুর এবং বর্গাদারদেরকেও এই প্রকল্পে যুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও কৃষকদের দু লক্ষ টাকা করে জীবন বীমা সহ একাধিক প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য সরকার, যে তালিকায় নতুন সংযোজন আলু চাষীদের জন্য নেওয়া এই পদক্ষেপগুলি।