Babul Supriyo: "দুঃখিত, বিজেপি নামক সার্কাস দলের অংশ হতে পারিনি" টুইটে সরব বাবুল
গতকাল দিলীপ ঘোষকে 'মজাদার জোকার' বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি
গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) 'মজাদার জোকার' বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এবার বঙ্গ বিজেপিকে 'সার্কাস' বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, "বন্ধুরা, বিজেপি দল বর্জন করে আমি যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি, বারবার মনে করিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। দুঃখিত, আমি বিজেপি নামক সার্কাস দলের অংশ হতে পারিনি।" এরপর তিনি আইজ্যাক অ্যাসিমভের এক উক্তি স্মরণ করিয়ে বলেছেন, "আপনার নীতিবোধ কখনোই সঠিক পথ বেছে নিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। আমি সঠিকটাই বেছে নিয়েছি। অপেক্ষা করুন, দেখুন, ধৈর্য ধরুন।"
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। দল থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) এবং রীতেশ তিওয়ারিকে (Ritesh Tiwari)। দলের আর এক সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিভিন্ন 'বিক্ষুব্ধ' নেতৃত্বদের নিয়ে একের পর এক পিকনিক করে চলেছেন। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ আলাদা ভাবে পিকনিকে মজেছেন। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টি অধুনা তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র কাছে সার্কাস বলেই মনে হয়েছে।
বিজেপির নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি স্পষ্ট এক টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছেন, কংগ্রেস দেশটাকে ৭০ বছর ধরে শোষণ করছে, এই ধ্বনি শোনা যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের মুখে। সেই কংগ্রেস দল থেকেই কোন নেতা সহজেই বিজেপিতে চলে আসছে। একদিকে রাজ্য বিজেপির আনুপূর্বিক ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন, পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। আশা করা হয়েছিল তাঁকে হয়তো কোন উপনির্বাচনে প্রার্থী করবে তৃণমূল। কিংবা কলকাতা বা আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনেও প্রার্থী করা হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাবুল সুপ্রিয় যে নেতৃত্ব কিংবা ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে দল বদল করেননি, বরং মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান, তা গত কয়েক মাসের কার্যকলাপে স্পষ্ট বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। আর বিজেপির অন্তর্কলহ নিয়ে বাবুলের পরপর টুইট সেই বিষয়কেই আরও স্পষ্ট করল বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।