প্রচারে এত মানুষের ঢল, অথচ আসন ফাঁকা! পুনর্গণনা চেয়ে আদালতের দারস্থ বিজেপি
দু’হাজারের কম ব্যবধানে হারা আসনে পুনর্গণনা চেয়ে মামলা করা হবে, বার্তা দিলীপবাবুর
তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, CM)। তাঁর প্রথম থেকেই দাবি, বিজেপি (BJP) নিজেদের হার মানতে পারছেন না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গ না থাকলে গেরুয়া শিবির নাকি ৩০টি আসনও পেত না। সেই নিয়েই ফের শুরু গোষ্ঠীদন্দ্ব। বিজেপির তরফে আজ জানানো হল, পুনর্গণনার দাবি নিয়ে তারা আদালতে যাবে। যেসব আসনে তারা দু’হাজারের কম ভোটে হেরেছে, সেইসব আসনে পুনর্গণনা চেয়ে তারা মামলা করবে কোর্টে। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা চেয়ে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তৃণমূল।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির এই সিদ্ধান্ত পাল্টা চাপের এক নয়া কৌশল। আবার অনেকের মত, পরাজয়ের পর বিজেপি নেতাদের মুখরক্ষার্থেই নয়া সিদ্ধান্ত। যদিও বিজেপির কোর্টে যাওয়ার হুমকিকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ তৃণমূল। প্রবীণ নেতা ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, "দুই হাজারের কম ভোটে হারলেই পুনর্গণনা চাওয়া যায় না। ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ থাকলে আদালতে যাওয়া যায়। কিন্তু আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনের কাছে রিকাউন্টিং চেয়েছিলেন। কমিশন দেয়নি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর্টে যাবেন।"
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির মতে, "প্রচার চলাকালীন মানুষের এত সমর্থন। মিটিং-মিছিলে জনতার ঢল। কিন্তু ভোট কেন এল না এটা দেখার দরকার আছে। তা খতিয়ে দেখতে বসেই বেশ কিছু অস্বাভাবিক বিষয় নজরে এসেছে। তাই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় দু’বছর আগেও লোকসভা নির্বাচনে যেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল সেখানে এবার অল্প ব্যবধানে গেরুয়া প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। গণনায় কারচুপি হওয়ায় এটা হয়েছে। দু’হাজারের কম ব্যবধানে হারা আসনে পুনর্গণনা চেয়ে মামলা করা হবে।"