শুভেন্দুর পাশে বসেই তৃণমূলের বাজেটের প্রশংসা করলেন বিজেপি বিধায়ক
বাম সরকারের তুলনায় বাজেটে উন্নতি এনেছে তৃণমূল, বলতে বাধ্য হলেন বিজেপি বিধায়ক
গতকাল বাজেট পেশ করেছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বিজেপির হয়ে বাজেট প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেন বিজেপির 'ওপেনিং ব্যাটসম্যান' তথা বালুরঘাটের বিধায়ক তথা অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী (Ashok Lahiri)। আজ বিধানসভা কক্ষে তিনি সাফ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়ছে। এই পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে তিনি যদিও চিহ্নিত করলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র পড়তে যাওয়া, চিকিৎসার জন্য অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রবণতাকে।
পাশাপাশি বহু বছর ধরে রাজ্যের হিসেবের ক্যাগ অডিট করেনি বলে দাবি করেন অশোক লাহিড়ি। তাঁর বক্তব্য, "৪৭টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গুনেছি। আরও আছে। ৮টি শ্রী, ৬টি সাথী, অন্তত ৫টি ধারা, ৩টি বন্ধু, ৩টি স্নেহ দিয়ে প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৭টি অন্যান্য প্রকল্প। এতগুলি প্রকল্প চালাতে দৈবশক্তি লাগে।" আবার খোঁচা দিয়ে তিনি এও বলেন,"অনেকগুলি প্রকল্পই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থে চলে"। এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, সামাজিক প্রকল্পগুলি যোগ্য মানুষরাই পাচ্ছেন কিনা, তাও জানা জরুরী।
তাঁর কথায়, "উপভোক্তার তালিকা ওয়েবসাইটে পেলাম না। ২০১১ ও ২০১৬ সালে সামাজিক ও আর্থিক জনসুমারি হয়েছে। রাজ্য সরকার তালিকা প্রকাশ করলে স্বচ্ছতা আসবে। শুধু ত্রাণ দিলেই হবে না। পরিত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। নৌকো করে খাবার দিলেই চলবে না। বরং নিকাশি ঠিক করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গে মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। পরিকাঠামো ও মূলধনী খাতে খরচ বাড়াতে হবে। দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করতে বলেছি। একটা অর্থনৈতিক অবস্থা, বেকারত্ব ও পরিযায়ী শ্রমিক এবং আর একটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি। এখন শিক্ষার জন্য আমরা যাই বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে। চিকিৎসার জন্য ভেলোরে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা লোকসভায় বসে নেই। বিধানসভায় আছি। বিধানসভায় কেন্দ্রের আলোচনা করার অর্থ সময়ের অপব্যয়। বাজেট তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট শুধু অর্থমন্ত্রী একা করেন না। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গত দেন। বাম ও তৃণমূল সরকারের মধ্যে বলব যে বাম সরকারের জমানায় যা হয়েছে তার চেয়ে তৃণমূল সরকারের আমলে একটু উন্নতি হয়েছে। একথা বলতে আমি বাধ্য।"