শুভেন্দুর সভার আগেই উত্তপ্ত খেজুরি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
হামলার জেরে বিজেপির কয়েকজন নেতা কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ
ভোটের উত্তাপে টগবগিয়ে ফুটছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তবে কী এবার নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াই? নন্দীগ্রামের বিশাল জনসভা থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন, আগামী বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে তিনিই লড়বেন তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে। এরপরেই এদিন মঙ্গলবার বিজেপির সভা ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
এদিন সভায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে আসার পথে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভার পথে ২ জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সূ্ত্রের খবর, এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাচ্ছিলেন বিজেপির নেতা- কর্মীরা। খেজুরি থেকে হেড়িয়ার পথে যাওয়ার পথে বিজেপির উপর তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। হামলার জেরে বিজেপির কয়েকজন নেতা কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও, বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই এলাকায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিজেপির আরও অভিযোগ, খেজুরি এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপর বোমা ও ইট ছুঁড়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সশস্ত্র তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা বাস থামিয়ে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বাস। এতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নিখিল আড়ি-সহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।