গেটের সামনে চারটে লোক দিয়ে নোংরা কথা বলিয়ে শুভেন্দুকে রোখা যাবে না : মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
গোকুলনগরে গুলি চালিয়েছিলেন যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে তৃণমূলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : শুভেন্দু অধিকারী
এদিন নন্দীগ্রাম দিবসে সরগরম পুরো নন্দীগ্রাম চত্বর। আসন্ন বিধানসভার হিড়িকে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের ভীড়ে নন্দীগ্রাম। আর সেখানেই শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, ‘‘গোকুলনগরে গুলি চালিয়েছিলেন যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে তৃণমূলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে পুলিশ অফিসার অরুণ গুপ্ত এবং তন্ম রায়চৌধুরী নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে তাঁদের পদোন্নতি হয়েছে। ক্ষমা করবেন না। আমি শহিদ পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ। দলমত, সম্প্রদায় নির্বিশেষে নন্দীগ্রামের মানুষ আমার আত্মীয় স্বজন। আমি সকলের পাশে রয়েছি এবং থাকব।’’
নন্দীগ্রামে এ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারী। কাজেই উত্তেজনা চরমে। তবে সদ্য ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগদান করা শুভেন্দু অধিকারীও নন্দীগ্রামের মাটিতে পদ্মফুল ফোটাতে বদ্ধপরিকর। তবে শুভেন্দুকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে। তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে জায়গায় জায়গায় পোস্টারও দেখা যায়।
তবে এই পোস্টারের পিছনে কার হাত আছে, সে বিষয় এখনও অবধি পরিস্কার নয়। তবে এ বিষয়ে শুভেন্দুর মত, "গেটের সামনে চারটে লোক দিয়ে নোংরা কথা বলিয়ে শুভেন্দুকে রোখা যাবে না। এ বারে গণতান্ত্রিক পথে ভোট হবে। আপনারা নিজের ভোট নিজে দেবেন। আমি ব্যবস্থা করে দেব। আমি নিজেও এখন নন্দীগ্রামের ভোটার। আপনাদের পাশে থাকব।"