তবে কি শতদলেই শতাব্দী?
গতকাল ফেসবুকে বেসুরো ইঙ্গিতের পর আজই দিল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়
গতকালই ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন গত দু বছর ধরে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেয়েও যেতে পারেননি। যে মানুষ তাকে নির্বাচনে জয়যুক্ত করেছেন সেই মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়া কর্তব্য আর সেই কর্তব্য পালনেই বাধা পেয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে আরো বলেন সেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেননি বলেই মানুষ তাকে প্রশ্ন করেছেন যে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন কিনা। ওই পোস্টেই উল্লেখ করেন যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন তা আগামী ১৬ তারিখ জানাবেন। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আজ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন শতাব্দী।
সাংবাদিকরা এই রাজধানী যত্রার কারণ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন তিন বারের সাংসদকে দিল্লি যাওয়ার কারণ দর্শাতে কেন হবে? আরও বলেন ওটাই এখন তার ঘরবাড়ি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করার প্রশ্নে সরাসরি বলেন সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না শতাব্দী। বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে বলেন "বিজেপিতে যোগদান করব এমনটা বলিনি।" নিজের দলের অন্দরে থাকতে সমস্যার কথা কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাননি, এর উত্তরেও স্পষ্ট বলেন, "অনেক সময় মনে হয় জানিয়ে লাভ নেই।" দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পায় যখন নিজে মুখেই বলেন দু'বার তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েও তার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি তাই বলেন, "যেখানে আমার সিদ্ধান্তের গুরুত্ব নেই সেখানে থাকতে চাই না।"
এ প্রসঙ্গে দীলিপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ওখানে কোনো সমন্বয় নেই আর বিজেপিতে প্রত্যেককে স্বাগত জানাচ্ছেন তারা। সৌগত রায় ব্যক্ত করেন দলের সাথে কথা না বলে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো শতাব্দীর।