বহিরাগতদের এ রাজ্যে আসতে হলে RT- PCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 18/04/2021   শেষ আপডেট: 18/04/2021 11:55 a.m.
-facebook@mamatabanerjee

কোভিড পরিস্থিতি রিপোর্ট চেয়ে টুইট রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের

একদিকে নির্বাচন, আর একদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকার জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মচারী উপস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে।বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছিলেন বাইরের লোকজন এসে এ রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে। একাধিক জনসভায় তিনি এ দাবি দাবি তুলেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাইরে থেকে এরাজ্যে আসতে হলে RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকলে রাজ্যে পা রাখার অনুমতি মিলবে না বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল নেত্রীর দাবি এই নির্বাচনের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার বহিরাগত এরাজ্যে এসেছেন। যাঁদের বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত। এদের কারণেই রাজ্যে করোনার এত বাড়বাড়ন্ত। এই কারণে মমতা সরকার আর কোন ঝুঁকি নিতে নারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এরপর বড় অঘটন ঘটলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।"

গত কয়েকদিনে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। চিকিৎসক থেকে শুরু করে সকলেই বলছেন করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী বাকি চার দফা নির্বাচন এক দফায় করার দাবি তুলেছিলেন। যদিও নির্বাচন কমিশন সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তে অত্যন্ত চিন্তিত ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, গত কালই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৪। এমন অবস্থায় করোনা মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে রাজ্যবাসীকে করোনার উদ্বেগজনক সংক্রমণে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন। নবান্নর তরফে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা কঠোর ভাবে মেনে চলার আবেদন করেছেন তিনি। তার পাশাপাশি রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন, সে বিষয়ে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে অনুরোধ করেছেন, যাতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সিইওদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলে করোনা বিষয়ে সতর্ক করা হয়, সে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।