আলু পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য বাজার দরে চিন্তায় রাজ্য
ডিসেম্বরে কমবে আলু পেঁয়াজের দাম
শীত রাজ্যে ঢুকবে ঢুকবে করছে। কিন্তু এই শীতের আবহেই আলু পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে ঘাম ঝরছে মধ্যবিত্ত বাঙালীর। এর আগে আলু পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল রাজ্য, কিন্তু এবছর কেন্দ্রীয় সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা থেকে আলু পেঁয়াজ বাদ দিয়ে দেওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সরকারের মজুত থেকে বাজারে আলু ছাড়ার পরও বাজারে কমছেনা আলুর দাম। পাইকারী বাজার আলুর দামের খুব বেশি এদিক ওদিক হচ্ছেনা কিন্তু খুচরো বাজারেই আলুর দাম প্রতি কেজিতে বাড়ছে ৬-৭ টাকা।
আলুর মতো পেঁয়াজও সাধারণ মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই রাজ্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুব্যবস্থা তেমন নেই। ফলে মহারাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজই একমাত্র ভরসা। এই রাজ্যে রোজ ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রয়োজন পরে। ফলে ভিন রাজ্যে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়াতে এই রাজ্যেও পেঁয়াজ হয়ে উঠৈছে অগ্নিমূল্য। তবে সূত্রের খবর, ডিসেম্বরে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম কমবে তখন। নভেম্বরে কেন্দ্র পেঁয়াজ আমদানি করবে। আলুর ক্ষেত্রেও ডিসেম্বর অবধি এমনই দাম থাকবে।
কৃষি বিপণন কর্তারা জানাচ্ছেন, বছরের শেষ দিকে যখন হিমঘর থেকে আলু ছাড়বে তখন চাষী বা খুচরো ব্যবসায়ীরা তার ঠিকমত দাম পাবেননা। সরকারী সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে বর্তমানে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু আছে। আগামী মাসগুলিতে আলু লাগবে প্রায় ১০-১১ লক্ষ মেট্রিক টন। সরকারের নিজের সঞ্চয়ে ছিল ৪২ হাজার মেট্রিকটন আলু। চতুর্থীর দিন থেকেই রাজ্যের তরফ বাজারে ছাড়া হয়েছে। বুধবারে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩৬-৩৭ টাকা। হিমঘর থেকে বেরোনোর সময় আলুর দাম ছিল ২৬-২৭ টাকা। পাইকারী বাজারে বিকিয়েছে ৩০-৩১ টাকায়। সূত্রের খবর, আসলে খুচরো বিক্রেতারা কোনমতেই দাম কমাতে নারাজ। লকডাউনের সময় হওয়া পরিবহণ সমস্যা এখন মিটলেও দাম সেই চড়া।