বাম-কংগ্রেসের মতো দিদিও মুসলিম ভোট চায় : প্রকাশ্যে আসা পিকে'র অডিও ঘিরে উত্তেজনা
গত কুড়ি বছর ধরে সংখ্যালঘুদের ব্যপক তোষণ চলছে বলেও উল্লেখ করেন প্রশান্ত কিশোর
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবারের নতুন সংযোজন : ব্যক্তিগত কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বিজেপি নেতা প্রলয় পালের কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। আর আজ চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণের দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের অডিও প্রকাশ্যে আসায় ফের একবার চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে।
এটি একটি গ্রুপ ভিডিও কল যেখানে পিকের অডিওটুকু তুলে ধরা হয়েছে(এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পরিদর্শক)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনিতেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন যে শাসকদল সংখ্যালঘুদের তোষণ করে। এই অডিওতে কার্যত এমনই দাবি করলেন প্রশান্ত স্বয়ং। আজ সকালে ভোটপর্ব শুরুর কুড়ি মিনিটের মধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এই ভিডিও ফাঁস করেন। ওই অডিওতে বক্তাকে বলতে শোনা যায়, "বড় সমস্যা হল, বিগত ২০ বছর ধরে সংখ্যালঘুদের ব্যপক তোষণের জন্য সবকিছু করা হয়েছে। যা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। বাংলার দিকে তাকালে দেখবেন, এখানকার রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল, যে দলকে মুসলিমরা ভোট দেবেন, তারা সরকার গড়বে। কংগ্রেস হোক, বাম হোক বা দিদি হোন - মুসলিম ভোট পাওয়ার দিকেই নজর সবার। প্রথমবার হিন্দুরা ভাবছেন যে আমাদেরও কেউ জিজ্ঞাসা করছে। বিষয়টা এমন নয় যে পুরো সমাজই ভুল। কোথাও না কোথাও গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের সদ্ব্যবহার করছে বিজেপি। আর সেই সুযোগটা কোনও না কোনওভাবে এসেছে সংখ্যালঘু রাজনীতির চূড়ান্ত অপব্যবহার থেকে।"
প্রশান্ত কিশোর নিজে এই প্রসঙ্গে জানান, কথোপকথনের আংশিক নয়, পুরোটা প্রকাশ করা হোক। স্বভাবতই, ভোটের মাঝেই এই ঘটনা নিয়ে ফের উত্তেজনা বঙ্গ রাজনীতিতে।