‘পরিকাঠামো নেই’, তাই শুরুর আগেই কোর্টে পৌঁছল ‘দুয়ারে রেশন প্রকল্প’
সরকারের দাবী, আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে 'দুয়ারে রেশন প্রকল্প'
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই চালু হওয়ার কথা রাজ্য সরকার পরিকল্পিত ‘দুয়ারে রেশন প্রকল্প’। ভোটের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বারংবার ঘোষণা করেছিলেন, আর রেশন দোকানে লাইন নয়, রাজ্যের সমস্ত রেশন গ্রাহকের বাড়িতেই এবার থেকে পৌঁছে যাবে মাসকাবারির চাল, গম, তেল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সেই প্রকল্প পথ চলা শুরু করার আগেই খেল বড়সড় ধাক্কা। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে পৌঁছালেন রেশন ডিলারদের একাংশ। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রশ্ন ছুঁড়ে জানিয়েছেন, এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী।
এবিষয়ে রেশন ডিলারদের একাংশ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেন, এই প্রকল্পের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। তাছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। পাশাপাশি মামলাকারী রেশন ডিলারদের দাবী, তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার পরিকাঠামোও নেই। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই পরিকাঠামের আয়োজন করাও অসম্ভব। তার উপর সরকার থেকে জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব, খরচা সবই বহন করতে হবে ডিলারদের। সেক্ষেত্রে, এত বিপুল পরিমানে খরচ তাঁরা বহন করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন রেশন ডিলাররা।
উদাহরন হিসাবে তাঁরা দিল্লীকে দেখিয়ে বলেন, সেখানেও একই ধরনের প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করেছিল আম আদমি সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাতে অনুমতি দেয়নি। যদিও এর পাল্টা যুক্তি দিয়ে রাজ্য সরকারের দাবী, গ্রহীতার সুবিধার্থে তাঁরা আইন সংস্কার করতেই পারেন। এতে ডিলারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় না। তাছাড়া রাজ্য সরকারই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পরিবহন এবং অন্যান্য খরচা বহন করছে বলেই দাবী রাজ্যের। তবে এদিন আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পটি আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। কেবল সেপ্টেম্বর মাসেই এই ক্যাম্পেন চালানো হবে। পরবর্তীকালে প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে আগামী দিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে রয়েছে মামলাটি। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল।