তিন নয়, চারজন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তৃণমূলের, নবতম সংযোজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
শনিবার কালীঘাটে মমতার বাসভবনে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জাতীয় কমিটি ঘোষণা হয়
তৃণমূল দলনেত্রী তথা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের জায়গায় নবীন ও প্রবীণদের মিলিয়ে এক মজবুত টিম গঠন করতে চাইছেন। একদিকে যেমন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে তরুণ প্রজন্মের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জায়গা পেয়েছেন, ঠিক তেমনই তৃণমূল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে চারজন দুঁদে রাজনীতিককে রাখা হয়েছে। শনিবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর বাসভবনে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর নতুন জাতীয় কমিটি ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসময় তিনি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে নাম ঘোষণা করেছিলেন যশবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুব্রত বক্সীর। চতুর্থ পদাধিকারী হিসেবে পার্থকেও এই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে।
এবার জোড়াফুল শিবিরে চারজন সহ-সভাপতি। এই চারজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং প্রত্যেকেই বিশিষ্ট রাজনীতিক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই দায়িত্ব পালনে কখনই পার্থবাবু ব্যর্থ হননি। তাঁর মত এক অভিজ্ঞ রাজনীতিককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। প্রাথমিকভাবে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে তিনজনের নাম ঘোষণা করা হলেও শনিবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে পার্থবাবুর নামও যুক্ত করা হয়। এবার এই চার নেতা যে মমতার ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার পথ আরও সুগম করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রাখায়, তাঁকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়াও এবার মমতা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে প্রবীণ ও নবীনদের এক ভারসাম্য রাখতে চাইছেন। তাই একদিকে যেমন রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর মত অভিজ্ঞ প্রবীণ রাজনীতিক।