প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছি, এর থেকে খুশির খবর কিছু হতে পারে না : শুভেন্দু
আজকের উত্তাল বিধানসভাকে 'নজিরবিহীন' বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
গত কয়েকদিন ধরেই রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ড (Rampurhat Clash, Rampurhat Incident) ঘিরে উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ এমনকি ওয়াকআউট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। তবে আজ তা চরমে ওঠে। শেষমেশ আজ বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে।
আজকের উত্তাল বিধানসভাকে 'নজিরবিহীন' বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এই ঘটনার পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে। গঠনমূলক আলোচনার বদলে বারবার বিধানসভার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়নকে ব্যহত করছেন বিজেপি বিধায়করা।' প্রসঙ্গত, বগটুই কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আহত হন বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়করা। ধস্তাধস্তির মাঝে পড়েন ফিরহাদ হাকিমও।
এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিধানসভার ঐতিহ্য ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। গঠনমূলক সমালোচনার পরিবর্তে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এদের কাজ সন্ত্রাস করা। রোজ সকালে ভাঙচুর চালানো। সবার কাজ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে ওরা। অধ্যক্ষ আজ বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করেছেন।"
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "তাঁদের ওপর আক্রমণ হয়েছে আর তাঁদেরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংখ্যালঘু মহিলা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আর বসিরহাটে ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপি বিধায়করা সাসপেন্ড হয়েছি। এর থেকে খুশির খবর কিছু হতে পারে না।"