ফের ফাটল গেরুয়া শিবিরে! উপনির্বাচনের আগে খড়দহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শতাধিক পরিবার
কাজল সিনহা গত হবার পর এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টপাধ্যায়
রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এমনিতেই ক্ষমতায় আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য শাসকের আসনে ঘাসফুল। তবে বেশ কিছু কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যু বা অন্য কারণে নির্বাচন ব্যহত হওয়ায় উপনির্বাচন চলছে। ইতিমধ্যেই তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসক-বিরোধী ফলাফল হয়েছে ৩–০। এখন চার কেন্দ্রেও পুরোপুরি জয়লাভের জন্য মরিয়া শাসকদল। তবে বিরোধীপক্ষও পিছিয়ে নেই। কিন্তু এরই মাঝে খড়দহে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছে শতাধিক পরিবার। এর আগেও এই কেন্দ্রে প্রায় হাজারের বেশি ভোটার তৃণমূলে যোগ দেন। এই আকষ্মিক দল পরিবর্তনে বেশ ভালো রকম চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবির।
এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা করোনায় প্রাণ হারান। উপনির্বাচনে তাই এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হন শোভনদেব চট্টপাধ্যায়। রবিবার খড়দহের পাতুলিয়া বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী সভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মী বিজেপি ও সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপর বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকার আরও প্রায় ৫০টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। গত সোমবারেও খড়দহ বিধানসভার রুইয়া এলাকার ২৪টি পরিবার পদ্মফুল ছেড়ে যোগ দেন জোড়াফুলে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জানান, এই সপ্তাহে ফের শতাধিক বিজেপি এবং সিপিআইএমের নেতা–কর্মী তৃণমূল দলে যোগ দেবার কথা।
বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আসতে পারেন এই কেন্দ্রে। এই ভাঙনের কারণ খতিয়ে দেখবেন বলেই খবর। বিজেপিকে 'বহিরাগত' আখ্যায়িত করে পার্থ ভৌমিক আবারো মনে করিয়ে দেন এতে আশ্চর্যের কিছু নেই কারণ তাদের সংস্কৃতি বাংলা মেনে নেবেনা।