শুধু প্রেসক্রিপশন দেখালেই মিলবে না অক্সিজেন সিলিন্ডার, নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের
কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের
গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের গগনচুম্বী গ্রাফ দেখে উদ্বেগে গোটা দেশবাসী। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ। বেহাল অবস্থা বাংলাতেও। করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভিত কেঁপে গেছে এই রাজ্যে। পাওয়া যাচ্ছে না রোগীদের জন্য হাসপাতালের বেড। অক্সিজেনের আকালে হাসপাতালগুলিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে আজ অর্থাত শনিবার নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরি কৃষ্ণ দেবের সব রাজ্যের একাধিক শীর্ষকর্তা।
নবান্নের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আজ অক্সিজেনের যোগান প্রসঙ্গ উঠলে বলা হয়, আপাতত রাজ্যে দৈনিক ২৩৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু সরকারি, বেসরকারি এবং আধা-সরকারি মিলিয়ে মোট ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। আপাতত অক্সিজেনের খুব একটা ঘাটতি নেই। তবে এবার থেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখলে আর অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট দেখাতে পারলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাবে। তবে ভোটমুখী বাংলায়করোনার দৈনিক সংক্রমনের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে আগে থাকতেই ব্যবস্থা নিতে চায় রাজ্য সরকার। তাই কেন্দ্র বাংলা থেকে অন্যান্য রাজ্যকে যে সমস্ত অক্সিজেন পাঠাচ্ছে তার পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।