বহু নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথীর আড়ালে চলছে কারচুপি, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল স্বাস্থ্যদপ্তর
নার্সিংহোমে এবার আচমকা পরিদর্শন করতে পারেন স্বাস্থ্যকর্তারা
চলতি বছর বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট ব্যবধানে বিজেপিকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল। আর এই জয়ের পিছনে অন্যতম মূল কান্ডারী ছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে বেশ খুশি করেছিলেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে সামনে রেখে একশ্রেণীর নার্সিংহোম রোগী ঠকানোর ফাঁদ পেতেছে। বেশকিছু ঘটনা সামনে আসতেই তড়িঘড়ি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। বুধবার নার্সিংহোম সংগঠনের সাথে আলোচনায় বসে স্বাস্থ্যকর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে ঐ সমস্ত নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেক সাধারণ মানুষ।
প্রকল্প শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই বিভিন্ন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন রকম অভিযোগ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের বিষয়বস্তু চিকিৎসা বিল। আবার কিছু কিছু নার্সিংহোম প্যাকেজের মধ্যে আসতে চাইছে না। আসলে প্যাকেজের মধ্যে এলেই প্রতিটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসেব দিতে হবে এবং কেন তা করা হলো তা স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই নার্সিংহোম সংগঠনের সাথে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
বৈঠকের পর স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, "রোগী স্বার্থে পরিষেবা দিতে হবে নার্সিংহোমকে। যে বিষয়ে চিকিৎসা হবে সেই রোগের বিশেষজ্ঞ থাকতেই হবে। রোগী অনুপাতে নার্স কত তাও ঠিক করে দেবে স্বাস্থ্যভবন। অন্তত ৫ জন রোগীর জন্য একজন নার্স থাকতেই হবে। জরুরী প্রয়োজনে রাতে অন্তত একজন এমবিবিএস ডিগ্রীপ্রাপ্ত চিকিৎসককে নার্সিংহোমে থাকতে হবে। এছাড়া নিয়ম বলবৎ হচ্ছে নাকি তা দেখার জন্য প্রয়োজনে নার্সিংহোমে আচমকা পরিদর্শন করা হবে এবং রোগী ও পরিবারের সাথে কথা বলা হবে।"