খেলার ছলে একরত্তি শিশুর গলায় বিঁধল পেরেক, জটিল অস্ত্রপ্রচারে প্রাণ বাঁচালো চিকিৎসকের দল
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ৭ চিকিৎসকের দল এই জটিল অস্ত্রোপচার করেছে
কথায় বলে ডাক্তার ঈশ্বরের আরেক রুপ। এই কথা কিন্তু মিথ্যে নয়। আর এবার তারই প্রমাণ মিলল উত্তরবঙ্গে। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি ডাঙিপাড়ার একটি বছর তিনেকের শিশু বুধবার খেলা করতে গিয়ে কোনোভাবে গিলে ফেলে একটি পেরেক। হ্যাঁ, পেরেকই। যা চাইলেই চোখের পলকে ঝাঁঝড়া করে দিতে পারে পাকস্থলী,ফুসফুস। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, পেরেকটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশি শুরু হয় ওই শিশুর। সঙ্গে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট। পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে আর এক মুহূর্তও দেরী না করে শিশুটিকে নিয়ে আসে হাসপাতালে।
যদি শিশুটিকে আনতে আর একটু দেরি হত, তবে তাকে আর হয়তো বাঁচানো যেত না এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয়। তারপর এক্স-রে এর মাধ্যমে পেরেকটির অবস্থান দেখে নেয় চিকিৎসকরা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাচ্চাটির জটিল অস্ত্রোপচার করেন সাত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল। তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে অবশেষে বিপদমুক্ত হয়েছে শিশুটি।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "আরিস মহম্মদ নামের একটি শিশু গতকাল পেরেক নিয়ে খেলতে গিয়ে, গিলে ফেলে সেটি। এরপর সন্ধে নাগাদ আমাদের ওয়ার্ডে ভর্তি হয় সে। দেরি না করে আমারা তাড়াতাড়ি এক্স-রে, সিটিসি করি বাচ্চাটির। সেই সময় দেখতে পায় গলার মধ্যে পেরেক বিঁধে রয়েছে। বাচ্চাটির শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি কাশি ছিল প্রচণ্ড। তারপর আমাদের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান জানান যে পেরেকটি ফুসফুসের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। এরপর তৎক্ষনাৎ আমরা সাতজনকে নিয়ে একটি দল গঠন করি। আজ সকালে অস্ত্রোপচার করা হয়। পেরেকটি বার করা হয়েছে। এখন ওই শিশুটিকে অবজারভেসনে রাখা আছে।"