টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়ানো, বিক্ষুব্ধ ৬১ কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলো তৃণমূল
নির্দল কাঁটা সরানোর জন্য ৬১ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেস
পুরভোটে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। আর কয়েকদিন পরেই রাজ্যে ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। যদিও আগেই পুরভোটে নির্দল কাঁটা সরানোর জন্য শাস্তি পথে হেটেছিল তৃণমূল। তবে এবারের অভিযোগ আরো গুরুতর। এবারে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাড়ানো ৬১ জনকে একসাথে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল থেকে বিতাড়িত করলো দল। রবিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং রথীন ঘোষের উপস্থিতিতে এই বড় ঘোষণা করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল।
এই ঘোষণাটি করলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২৫ টি পুরসভার মধ্যে ১৩টি পুরসভায় তৃণমূল কর্মী কিংবা বিক্ষুব্ধ নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রবিবার যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের তারা অনেকেই উত্তর ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, খরদা, বাদুড়িয়া, বারাসাত, উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, অশোকনগর কল্যাণগড়, টাকি, কামারহাটির মতো কয়েকটি পুরসভায় রয়েছেন।
নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বললেন, "তৃণমূলের যে সমস্ত নেতা বা সমর্থক নির্দল কিংবা অন্যান্য কোন দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল তৃণমূল। তাদেরকে বলা হয়েছিল, যদি তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন তাহলে তাদের প্রত্যেককে বহিষ্কার করা হবে তৃণমূল থেকে। অনেকেই তা শুনে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু এখনো ৬১জন নির্দল বা অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই তাদেরকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল।"
পার্থ ভৌমিক যোগ করেছেন, "মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। অতএব দলনেত্রীর প্রতীক যার সঙ্গে আছে, মানুষ তাকেই সমর্থন করবেন। এছাড়াও এই বিষয়টির সঙ্গে একটা দলীয় শৃঙ্খলা এবং শালীনতা জড়িয়ে রয়েছে। এই কারণেই আমরা তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলাম।" তবে নির্দল প্রার্থীরা যদি জয়ী হয়ে যায় তাহলে কি তাদের জন্য আবারো তৃণমূলে ফেরার রাস্তা থাকবে? এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলছেন, "দলের সর্বস্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নির্দল থেকে জিতে এলেও তাকে আর দলে জায়গা করে দেওয়া হবে না।" যদিও পার্থ ভৌমিক একা নন, রবিবার নাকতলা বাড়িতে বসে নির্দলে দাঁড়ানো এই কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বয়ং দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।