কাউন্সিলরদের যেন বেশি চাহিদা না থাকে : নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছরে আদিবাসীদের ২০ লক্ষ ঘর হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গতকাল তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি। এদিন ছিল আদিবাসী পরিষদের সভা। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে এদিন শুধু তৃণমূলের কর্মী বা সাংসদ নয়। নজিরবিহীন ভাবে উপস্থিত হলেন বিজেপির সাংসদ এবং প্রাক্তন সাংসদ। উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে। যদিও এনিয়ে কানাঘুষো শুরু হতেই, মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "এটা রুটিন বৈঠক।"
বৈঠক শেষে এদিন নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কাউন্সিলরদের যেন বেশি চাহিদা না থাকে। সর্ব স্তরের, সর্ব ধর্মের প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। কোনওভাবেই বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না। একটি কমিটি তৈরি করা হবে। আমি সেই কমিটিতে নিজে মনিটরিং করব।"
প্রসঙ্গত, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ পরিষদের বৈঠক ছিল। মুখ্যসচিব, সমস্ত আধিকারিক এবং উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই সমাজ এগিয়ে চলুক। আগামী ৫ বছরে আদিবাসীদের ২০ লক্ষ ঘর হবে। পাশাপাশি তাঁদের উন্নয়নের জন্য অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাঁরা যা পরামর্শ দিয়েছেন তা আগামী মিটিংয়ের আগে করা হবে। এটা রুটিন বৈঠক।"
এদিন গৌতম দেবকে পাশে নিয়ে উত্তরকন্যায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে ফটোসেশনেও যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তিনি বলেন, "মানুষ যেন কোনও অভিযোগ করতে না পারে। সকলকে এলাকায় ভাল করে কাজ করতে হবে। কলকাতাকে দেখলে যেমন সকলে বলে, বদলে গিয়েছে। রাজারহাটকে দেখলে বলে, আন্তর্জাতিক স্থান হয়ে গিয়েছে। সেই লক্ষ্য শিলিগুড়িতেও নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে আমাকে জানাতে হবে।"