পশ্চিমবঙ্গে করোনার নয়া প্রজাতিকে ঘিরে উদ্বেগ, টিকার কার্যকারিতাকে হ্রাস করতেও সক্ষম!
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই হারাতে সক্ষম এই প্রজাতি
একদিকে যেমন করোনার বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল দেশ, অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনার ওপর দোসর বিধানসভা নির্বাচনের। আগামী ১৩মে অবদি বঙ্গে চলবে ভোট, যদিও বহু রাজনৈতিক গত কয়েকদিনে ঘোষনা করেছেন, তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে জনসভা করবেন না। তবে তাতে কী! করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ততেই যে একাধিক জনসভা, বিক্ষোভ, রোজদিন লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। আর তার ফল ভুগছেন হচ্ছে, তবে বর্তমানে ভোট বঙ্গে গবেষকরা করোনাভাইরাসের একটি নতুন বংশের উত্থানের কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই অন্তত ১৫শতাংশ এই নতুন বংশের উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।
নতুন এই প্রজাতিটি B.1.618 নামে চিহ্নিত। এতে রয়েছে E484K নামের এক বৃহৎ মিউটেশন। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক প্রজাতিগুলিতে রয়েছে এই মিউটেশনই। এই মিউটেশন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই হারাতে সক্ষম। পাশাপাশি করোনা টিকার কার্যকারিতাও হ্রাস করতে পারে এই মিউটেশন। নয়া এই প্রজাতির প্রথম হদিশ মিলেছিল গত বছর ২৫ অক্টোবর।
তবে গতবছরের পর এবার চলতি বছরে মার্চের ১৭ তারিখ থেকে এই নয়া প্রজাতি উদ্বেগ ফেলেছে। এই মিউটেশনটি সবচেয়ে বেশি দেখা মিলেছে আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডে।
সিএসআইআর- ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টারঅ্যাকটিভ বায়োলজি-তে জিনোম মিউটেশন নিয়ে গবেষণারত গবেষক বিনোদ সারিয়া বলেন, "গত কয়েকমাসে পশ্চিমবঙ্গে B.1.618 প্রজাতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে"। তবে আপাতত এই লিনিয়েজ থেকেই যে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এমন কোনও সরাসরি প্রমাণ মেলেনি।
তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় এই নয়া প্রজাতি শরীরের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করার সাথেই শরীরকে দূর্বল করে তোলে। এমনকি ভ্যাকসিন প্রয়োগেও কোনো কাজ হয়না। এদিকে গত কয়েক মাসে সংক্রমণর সংখ্যা ও এই ভেরিয়েন্টের বৃদ্ধির দিকটি বেশ লক্ষ্যণীয়।