টিকাকরণে গাফিলতি সহ্য করা হবে না, হুঁশিয়ারি রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের
স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বিলম্ব চলবে না
গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা স্বস্তি দিয়ে কমলেও ফের আজ অর্থাৎ বুধবারের পরিসংখ্যান কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩,৬৫৪। মৃতের সংখ্যা ৬৪০। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ দিন পর দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়াল। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে তা নিয়েই সাধারণ মানুষের ঝক্কির শেষ নেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠেছে ভ্যাকসিনের আকালের অভিযোগ। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ায় চিন্তায় অনেকেই। তার ওপর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির চক্র। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ নিয়ে আরও এক দফায় কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বিলম্ব চলবে না। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী যাতে সকলে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।পাশাপাশি ভ্যাকসিন সেন্টারে থাকতে হবে নোডাল অফিসারকে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যাতে সুশৃঙ্খলভাবে ভ্যাকসিনেশন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে মাপতে হবে রক্তচাপ। টিকা প্রাপককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ৩০ মিনিট ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখতে হবে।
যদিও সোমবার থেকেই কলকাতা পুরসভার তরফে ভ্যাকসিনের জন্য টোকেন চালু করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, "টিকার লাইনে দাঁড়িয়েও মানুষ টিকা পাচ্ছিলেন না। সেকারণে তাঁদের এই হয়রানি দূর করতে এই টোকেন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। পুরসভার সমস্ত টিকা সেন্টারগুলো থেকে ভ্যাকসিন প্রাপকদের এই টোকেন দেওয়া হবে।" তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের টিকা প্রাপকদের জন্য আপাতত এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। এছাড়াও ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের লাইন এখন কিছুটা কম হচ্ছে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্যেও এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রায় ৪০.০২ লক্ষ মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৪.৬১ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন।