বগটুই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি এবার নন্দীগ্রামে, রাতের অন্ধকারে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে খুনের চেষ্টা ২ মহিলাকে
অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার ৫ জন
বীরভূমের বগটুই (Bogtui) কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো উথাল-পাথাল রাজ্য রাজনীতি। শাসকদল এবং বিরোধী শিবিরের বক্তব্য ঘটনাটিকে খবরের শিরোনামে নিয়ে এসেছে। মাত্র কিছু সপ্তাহের মধ্যেই এবার সেই বগটুই কান্ডের পুনরাবৃত্তি হল পূর্ব মেদিনীপুরে। জমি দখল করে ক্লাব বানাতে বাধা দেওয়ায় রাতের অন্ধকারে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের কেন্দামারি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কি হয়েছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কেন্দামারি গ্রামের বাসিন্দা ভীমচরণ দাসের একটি ৩ ডেসিমল জমি নিয়ে কয়েক মাস আগে বিবাদ শুরু হয়েছিল। ওই জমি গ্রামের মন্দির সংলগ্ন হওয়ায় ভীমচরণ তা মন্দির নির্মাণের জন্য দান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা দেয় স্থানীয় কিছু যুবক। আসলে তারা ভীমচরণের ওই জমিতে ক্লাব ঘর বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে জমি দিতে অস্বীকার করেন ভীমচরণ। এরপর গত রবিবার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি ভিন রাজ্যে গেলে তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই যুবকেরা। কিন্তু তখন বাড়ির ভেতরেই ছিল ভীমচরণের ২ বিবাহিত মেয়ে।
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে রবিবার রাতে বাড়িতে চড়াও হয় একদল যুবক এবং তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারপর প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হলে ঘটনাস্থলে এসে ২ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাদেরকে আদালতে তোলা হলে জামিনে মুক্তি দেন বিচারক। এরপরই মঙ্গলবার রাতের দিকে বাড়ির চারদিকে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই যুবকের দল। এরপর বাড়িতে থাকা ভীমচরণের দুই মেয়ে চিৎকার শুরু করে এবং পুলিশে খবর দেয়। অবশেষে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ এবং ব্লক আধিকারিরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরিবারের দাবি যে এই ঘটনার সাথে জড়িত গ্রামের একাধিক মানুষজন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন। তাদের আজ শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।