দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যু, রণক্ষেত্র গোটা এলাকা
বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এখনও পাঁচ দফার নির্বাচন বাকি, তার মধ্যেই রোজদিন রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। কোথাও ঝুলন্ত দেহ, আবার কোথাও ছুরিকাঘাতে আঘাত কিংবা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার অভিযোগ। এবারের ঘটনা বীরভূম জেলার দুবরাজপুর বিধানসভা।
মঙ্গলবার এক ঝুলন্ত মৃতদেহকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় এই এলাকা। পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টি, পাল্টা পুলিশের কাঁদানে গ্যাস শেল ফাটিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে হয়। স্থানীয় জনতার কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়ে আহত হতে হয় দুবরাজপুর থানার ওসিকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে দুবরাজপুর বিধানসভার লোবা অঞ্চলের ফকিরবেড়া গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির নাম পতিহার ডোম। মৃত ব্যক্তি স্থানীয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। দুপুরের দিকে মৃতদেহ উদ্ধারে যায় দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তখন পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারী জনতা পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট ছুঁড়তে থাকে। পুলিশের গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও শেল ফাটায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে।
বিজেপির দুবরাজপুর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি সাধন ধীবর জানিয়েছেন, "সোমবার রাতে পতিহার ডোমকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আর সে ফেরেনি। এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে তার স্ত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তাকে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ উল্টে আমাদের বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে।" যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "এটি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। "