Murshidabad Murder Case : মাংসের দোকান খোলার নাম করে, খুন করতে ছুরি কেনে সুশান্ত
আজকের মধ্যেই শেষ করতে হবে মালদহের তদন্ত পর্ব
সুতপা-সুশান্ত কান্ডে নয়া তথ্য তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ছুরি কেনে বহরমপুরে ছাত্রী খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত কম্পিউটার সায়েন্সের মেধাবী ছাত্র সুশান্ত চৌধুরী, এমনই দাবি পুলিশের। সূত্রের খবর, মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলে সুশান্ত। এবং সুশান্ত তাঁদের জানায়, মাংসের দোকান দেবে সে আর তাই ভালো মানের ছুরি দরকার। সুতপাকে খুন করার চব্বিশ ঘণ্টা আগে মালদহের রথবাড়ি থেকে ছুরি কিনে বহরমপুরে গিয়েছিল সুশান্ত। এবং অনলাইন থেকে ‘খেলনা পিস্তলটি’ সে কিনেছিল বলে দাবি পুলিশের। দোকান থেকে প্রায় ৬-৭ ইঞ্চির একটি ভোজালি আকারের ছুরি কিনেছিল সে। আর তারপরই পরিকল্পনামাফিক গত ২ মে রাতে প্রেমিকা সুতপা চৌধুরীকে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করে প্রেমিক সুশান্ত।
প্রসঙ্গত, বহরমপুরে মালদহের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের পরে তেরো দিন কেটে গিয়েছে। প্রেমিকাকে খুন করলেও প্রথম থেকেই নির্লিপ্ত সুশান্ত। এদিনও একই ছবি। পুলিশের গাড়িতে লাল টি-শার্ট পড়ে বেশ খোশ মেজাজে ছিল সুতপা হত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।
শুক্রবার ছেলেকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার। তবে পরিবারের কারও দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকায়নি সুশান্ত। আক্ষেপ করে সুশান্তের দিদা বলেন, "নাতিকে কাছে পেয়েও জড়িয়ে ধরতে পারলাম না। সেও একবারও আমাদের দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত দেখল না।" অন্যদিকে, সুশান্তকে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সে প্রস্তাব খারিজ করে দেয় সুশান্ত। সুশান্ত জানায়, তার কেউ নেই। কারও সঙ্গে সে কথা বলতে চায় না।
একই ছবি ফুটে উঠল আজ। বাবার নির্ধারণ করে দেওয়া আইনজীবীকে ফিরিয়ে দিল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। সুশান্ত 'অভিমান'-এর সুরে জানিয়েছে,তার জন্য কাউকে চিন্তা করতে হবে না। কারও সহযোগিতা তার দরকার নেই।