রবিবাসরীয় নির্বাচনে জারি শাসক-বিরোধী তরজা, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শুরু ভোটগ্রহণ
সাতসকালেই কোথাও বিরোধী এজেন্ট কিংবা প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ, আবার কোথাও পুড়ল ক্যাম্প
আজ রাজ্যের ২০ জেলার ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন (Municipality Election)। সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। যদিও কয়েকটি পুরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকটি ওয়ার্ড জিতে নিয়েছে শাসকদল। দিনহাটা (Dinhata) পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে। বজবজ, সাঁইথিয়ার পুরনিগমে ভোট হচ্ছে হাতে গোনা ওয়ার্ডে।
নিরাপত্তার জন্য থাকছে ১৭ জন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। মোট ৪৪ হাজারের বেশি পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে। বিরোধীদের একাংশ পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিল কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। আর তারপরেই রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুরভোট।
রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ২,২৭৬ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন। যদিও ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ৯১ টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে। ভাটপাড়া পুরনিগমের একটি ওয়ার্ডে একজন সিপিএম প্রার্থীর অকাল প্রয়াণে ওখানে নির্বাচন হচ্ছে না। ভোটের শুরু থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে। খড়দহে বিজেপি প্রার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই দাবি অস্বীকার করেছে। গতকাল রাতে বাদুড়িয়া পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির খবর উঠে এসেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ।
আজ নজর থাকবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক কাঁথি পুরসভার দিকে। কাঁথি পুরসভার ২১ টি ওয়ার্ডে শাসক-বিরোধী তরজা চলছে জোরদমে। অধিকারী গড় বলে পরিচিত এখানে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা বাজেয়াপ্ত হয় কী না সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেও রবিবারের ছুটির মেজাজে বাংলার মানুষ। সকাল সকাল ভোটমুখী উৎসাহী জনতার ঢল চোখে পড়ার মতো।